শরীফা খাতুন , খুলনা প্রতিনিধি:[২] সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে খুলনা জেলা কারাগার থেকে খালাস করা হয়। এসময় জেলগেটে উৎসুক জনতা এবং মিডিয়া কর্মীদের সামনে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর কনডেম সেলে থাকার পর মুক্তির বিষয়ে কথা বলতে গেলে আবেগে কেঁদে ফেলেন।
[৩] এর আগে বিকেল ৫টায় বিশেষ বাহকে করে বাগেরহাট থেকে জাহিদের খালাস হওয়ার কাগজপত্র খুলনা জেলা কারাগারে আসেন।
[৪] জানা যায়, খুলনা জেলার রূপসা থানার নারিকেল চানপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ জাহিদ। ১৯৯৭ সালে বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার রহিমার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় মামলা করেন তার শ্বশুর ময়েনউদ্দিন শেখ। মামলায় রহিমা খাতুন (২৮) ও তার দেড় বছরের মেয়ে রেশমা খাতুনকে ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
[৫] অভিযোগে বলা হয়, শেখ জাহিদ তার স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার পর পালিয়ে গেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে তাদের হত্যা করেন জাহিদ। এই মামলায় বাগেরহাটের আদালত ২০০০ সালের ২৫ জুন এক রায়ে একমাত্র আসামি শেখ জাহিদকে মৃত্যুদন্ড দেন।
[৬] রায় ঘোষণার আগে জাহিদ আত্মসমর্পণ করেন।নিম্ন আদালতের রায় অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে পাঠানো হয় ডেথ রেফারেন্স। হাইকোর্ট মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে বিচারপতি বদরুল হক ও বিচারপতি মিজানুর রহমান ভুইয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই রায় দেন। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে কারাগার থেকে ২০০৭ সালে আপিল বিভাগে জেল আপিল করেন জাহিদ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :