শিমুল মাহমুদ: [১] দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজাঁনগরে আবারও বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা করে। যার প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্বেও কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন মিল মালিকরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ধানের দাম বাড়াকেই দায়ী করছেন মিলাররা।
[৩] চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশীদ বলেন, সবাইকে বুঝতে হবে ধানের বাজার বাড়লে চালের বাজার বাড়বে। ২৬ টাকা ধরে ধান কিনে প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল পরছে ৪২ টাকা। সেখানে ৩৬ টাকা ধরে চাল কিভাবে দিবে? মিলাররদের লোকসান দেওয়াটা কতটা সামর্থের মধ্যে হবে বা মিলাররা কতটুকু পারবে সেটা আদো চিন্তা করা হয়নি।
[৪] এদিকে এপিলে ধান-চাল সংগ্রহের ঘোষনা দেয় খাদ্যমন্ত্রনালয়। লক্ষ্যমাত্র ঠিক করে সাড়ে ১৯ লাখ টন। সরকারী ধরে ৩৬ টাকা কেজি সিদ্ধ ও ৩৫ টাকায় আতব চাল। আগষ্ট পর্যন্ত এ ধান-চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও পুরন হয়নি লক্ষ্য-মাত্রার অর্ধেকও। মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধ ও আতব মিলিয়ে সংগ্রহ হয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার ১ শ’ ৯৭ টন।
[৫] সংগ্রহ কম হলেও সংকট হবে না; প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রনালয়ের সচিব মোছা. নাজমানারা খানম বলেন, আমাদের দেওয়া নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে আজ। প্রয়োজন হলে আরো সময় বাড়ানো হবে। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন নিয়েছি। [৬] সরকারি হিসেব মতে খাদ্য-শস্যের মুজুদ রয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১০ লাখ ৮১ হাজার টন।
আপনার মতামত লিখুন :