বাশার নূরু: [২] মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আবু ওসমান চৌধুরীকে রোববার দুপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৩] পারিবারিক সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব জানান, আবু ওসমান চৌধুরী বার্ধক্যজনিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার থেকে তিনি খাবার গ্রহণ করতে পারছিলেন না। জরুরি ভিত্তিতে তাকে রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৪] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদে কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। অপারেশন সার্চলাইট-এর সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ সকালে বেলা ১১টায় তিনি চুয়াডাঙার ঘাঁটিতে পৌঁছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এর আগে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ আবু ওসমান চৌধুরী পদ্মা মেঘনার ওপারে কুষ্টিয়া থেকে বরিশাল জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণ নামকরণ করে সে রণাঙ্গণের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাকে দক্ষিণ পশ্চিমাংসের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
[৫] মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টরদ্বয় গঠন করেন এবং ৮ নং সেক্টরের দায়িত্ব¡ আবু ওসমানকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময় ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা। মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর, খুলনা জেলা সদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই এলাকা পুনর্গঠন করা হয়। এই সেক্টরের প্রধান ছিলেন আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম এ মঞ্জুর। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১৯৭১)'
আপনার মতামত লিখুন :