আবদুল হাই সঞ্জু : রাজনৈতিক দলে ENTRYISM একটা পুরনো বিষয়। ভিন্ন আদর্শ ও বিশ্বাসের লোক কিংবা স্বার্থান্বেষীরা দলে ঢুকে যাওয়ার অভিযোগ ব্রিটেনেও ওঠে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলগুলোকে। কিন্তু বাংলাদেশে অভিযোগ ওঠা পর্যন্ত এসে ঠেকে যায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। যেমন : সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের জন্য অনুপ্রবেশকারীরাই দায়ী। দুঃসময় এলে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরাই দলকে ধরে রাখে। সুসময়ের বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকে না। তাই, আমি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলবো, দলে কোনো স্তরে, কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।’
[১] ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে।’ অথচ এটা সাম্প্রতিক সমস্যা নয়, অনেক পুরনো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই দলের অভ্যন্তরে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ শক্তিশালী হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারকে নির্বিঘ্ন করতে ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে এসব অভিযোগ এড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। ফলে সেসব অনুপ্রবেশকারী এখন মহীরুহ হয়ে সাহেদ, সম্রাট, প্রদীপ ইত্যাদি নামে আবির্ভূত হয়েছে। পার্টি অফিসে এলেই কেন্দ্রীয় নেতারা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কিছু উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে চলে যান। সবকিছু আগের মতোই থাকে। আজও একই ঘটনা ঘটলো।
[২] ওবায়দুল কাদের বললেন : ‘দলে কোনো স্তরে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।’ ঠিক আছে বুঝলাম আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কিন্তু সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার রূপরেখা কে দেবে? একজন অনুপ্রবেশকারীকে কীভাবে চেনা যাবে? কেবল নেতাদের হাতে গোপন তালিকা থাকলে তো হবে না। নেতার সততা কে দেখবে? [৩] এজন্য দলের সমর্থক, কর্মী এবং কমিটিগুলোকে জনগণের অবগতির জন্য প্রকাশ্য করতে হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় ওয়েবসাইটে সকল নেতাকর্মীর তালিকা ও পরিচয় দেওয়া থাকলে সাহেদ কে ছিলো, সম্রাট কে ছিলো, এসব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠবে না। আর বড় নেতাদের পাশে কেউ ছবি তুলে সুবিধা নিতে চাইলেও বোঝা যাবে WHO IS WHO? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :