মো. আখতারুজ্জামান: গতসপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ব্যবসায় লোকসানে থাকা মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের। শেয়ার দর ৩১.০২ শতাংশ বেড়ে কোম্পানিটি টপটেন গেইনারের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নগদ লভ্যাংশে অবিশ্বাসী মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যবসায় ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। এরমাধ্যমে কোম্পানিটি বি ক্যাটাগরিতে রয়েছে। এই কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১.২৫ টাকা। এরপরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশের সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সরকারি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরশেনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের গত সপ্তাহের শুরুতে শেয়ার দর ছিল ১৮.৭০ টাকা। এ শেয়ারটি সপ্তাহ শেষে বেড়ে দাড়িঁয়েছে ২৪.৫০ টাকায়। এক্ষেত্রে দর বেড়েছে ৫.৮০ টাকা।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত দর বাড়ার মতো কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নাই। তবে খুব শীঘ্রই একটি বোর্ড মিটিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিসিআইসির সঙ্গে আমাদের যে দুরত্ব তৈরী হয়েছিল, সেটা মোটামুটি সমাধান হয়ে আসছে। তবে কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। এটা শেয়ার দর বৃদ্ধির কোন কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, বিসিআইসির চেয়ারম্যান আমাদের মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজেরও চেয়ারম্যান। যে কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিরাকলের দুরত্ব তৈরী হওয়ায় বোর্ড মিটিং হয়নি। যাতে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যানের সাক্ষর ছাড়া আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে পারি না। এছাড়া দূরত্ব তৈরী হওয়ার কারণে বিসিআইসি সাপোর্ট উঠায় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। তবে প্রথম প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি ১.২৫ টাকার লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফেরা নিয়ে সন্দেহ আছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি মোট ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭ হাজার শেয়ার হাতবদল করেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির ১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
ওরিয়ন ফার্মা তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২ কোটি ৪১ লাখ ৬৩ হাজার টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লাফার্জহোলসিম, গ্রামীণফোন, আইএফআইসি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ব্রাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন লিমিটেড।