দেবদুলাল মুন্না:[২] গত ১৮ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও গত ২৪ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর বইটি নিষিদ্ধের কথা লেখক সাইফুল বাতেন টিটোকে জানানো হয় গত শুক্রবার। প্রকাশক এখনও জানেন না। বইটি কওমি মাদ্রাসার শিশুদের বলাৎকারের ঘটনা নিয়ে লেখা ।
[৩] গেজেটে বলা হয়, “সরকারের কাছে এ মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, সাইফুল বাতেন টিটো রচিত ও নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের জালাকান্দির ‘জংশন’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত কওমি মাদ্রাসার শিশু ধর্ষণ উপাখ্যান ‘বিষফোঁড়া’ উপন্যাসটির বিষয়বস্তু দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থী। ইতোমধ্যে উপন্যাসটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় বাংলাদেশে বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”
[৪] বইটির লেখক সাইফুল বাতেন টিটো গতকাল বলেন, চলতি বছর একুশে বইমেলায় জংশন প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছিল, প্রথম মুদ্রণের ৫০০ কপি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বইটির শেষ ২৮ কপি তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা জানায়, বইটি একটু সেনসেটিভ, লেখক ও প্রকাশকের নিরাপত্তা হুমকি হতে পারে। পরে আবার বইটি প্রকাশ ও বিক্রির অনুমতি দেয় ডিএমপি।এরপর কি কারণে বইটি নিষিদ্ধ হলো তিনি এ বিষয়ে পরিস্কার না।
[৫] ‘জংশন’ প্রকাশনী লিয়াকত খান বলেন , তিনি বিষয়টি এখনও জানেন না। তবে নিষিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :