শরীফ শাওন: [২] সারাদেশে ৩৩ জেলায় ২৬৯ উপজেলার ২ হাজার ৫৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১ হাজার ১৬টি ইউনিয়ন বন্যা আক্রান্ত। গত ৩০ জুন থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চলমান বন্যায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ডায়রিয়া, বন্যার পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে, বজ্রপাতসহ অন্যান্য অসুস্থতায় তাদের মৃত্যু হয়।
[৩] শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
[৪] পানিতে ডুবে ২১০ জন, বজ্রপাতে ১৩ জন, সাপের কামড়ে ২৫ জন ও ডায়রিয়ায় ১ জন মারা যান। অন্যান্য অসুস্থতায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
[৫] গত ২৬ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৩ জন (রাজবাড়ীতে একজন ও লালমনিরহাটে দুজন) এবং সাপের কামড়ে একজনের (মানিকগঞ্জে) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৭ আগস্ট থেকে আজ (২৮ আগস্ট) পর্যন্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মানিকগঞ্জে তিনজন ও কিশোরগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়।
[৬] মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে লালমনিরহাটে ১৯ জন, কুড়িগ্রামে ২৪ জন, গাইবান্ধায় ১৬ জন, নীলফামারীতে দুজন, রংপুরে তিনজন, সুনামগঞ্জে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন, বগুড়ায় দুজন, জামালপুরে ৩২ জন, টাঙ্গাইলে ৪১ জন, রাজবাড়ীতে ৬ জন, মানিকগঞ্জে ২৬ জন, ফরিদপুরে দুজন, নেত্রকোনায় সাতজন, নওগাঁয় দুজন, কিশোরগঞ্জে ১১ জন, ঢাকায় ৯ জন, শরীয়তপুরে ৮ জন, মুন্সিগঞ্জে ১০ জন, গাজীপুরে ৬ জন এবং গোপালগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৭] বন্যার্ত এলাকাতে এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় ২৩ হাজার ১৭০ জন, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ (আরটিআই) ৮ হাজার ১৩৩ জন, বজ্রপাতে ৪৭ জন, সাপের কামড়ে ৮০ জন, পানিতে ডুবে ২৩৯ জন, চর্মরোগে ১৬ হাজার ১৯৯ জন, চোখের প্রদাহে ১ হাজার ৬৩৬ জন, আঘাতপ্রাপ্ত এক হাজার ২৩৮ জন এবং অন্যান্য রোগে ২০ হাজার ৯৩৯ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৩০১ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :