শাহীন খন্দকার : [২] করোনার কারণে শিশুরা ভুগছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেশন সিনড্রোম (এমআইএস) নামক জটিল রোগে। ফলে শিশুদের বিভিন্ন অঙ্গ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। করোনা সংক্রমণ যেন না বাড়ে সেজন্য এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা ও পরীক্ষা না নেয়ার মত দিয়েছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়াও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৮তম সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিও অনলাইনে সভায় অংশগ্রহণ করেন। তার উপস্থিতিতেই আরো কিছু সিদ্ধান্ত দেয় পরামর্শক কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লা।
[৪] শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা ও পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে মত প্রকাশ করে সভায় বলা হয়, শিশুদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কম বলে মনে হলেও পরিসংখ্যান বলে শিশুদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ একবারে কম নয়।
[৫] আইইডিসিআরের বয়সভিত্তিক তথ্য বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের ৭ থেকে ৮ শতাংশ স্কুলগামী শিশু। এছাড়াও আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির যৌথভাবে পরিচালিত জরীপে দেখা যায়, ৪ থেকে ৫ শতাংশ শিশু সংক্রমিত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ তুলনামুলকভাবে কম, কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে তাদেরকে সামাজিক মেলামেশা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
[৬] বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেলামেশা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। পরিবহন ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া একটি বড় ঝুঁকি হলো, শিশুরা সংক্রমিত হলে এদের মাধ্যমে বাড়িতে বড়দের বিশেষ করে পরিবারের প্রবীণ সদস্যদেরও সংক্রমিত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :