মুনমুন শারমিন শামস: পুরুষ যদি পুরুষকে লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখায়, সেটা কেন যৌন হয়রানি হবে না? যৌন হয়রানি কী একা নারীর সাথেই ঘটে। পুরুষ রেপড হয় না আরেক পুরুষ দ্বারা? তাহলে লুঙ্গি তুলে পুরুষাঙ্গ দেখানোর মতো নোংরা একটা কাজ যদি এক পুরুষ আরেক পুরুষের উদ্দেশে করে, তাহলে সেটি কেন যৌন হয়রানি নয়? ধরুন, নারী ও পুরুষের ঝগড়া চলছে। ঝগড়ার মুহূর্তে নারীরে কাবু করতে, পুরুষ লোকটা লুঙ্গি তুলে দেখায়ে দিলো। এখন আমরা সবাই সেটা দেইখা বললাম, মেয়েটারে যৌন হয়রানি করলো। এখন দুই পুরুষের ঝগড়া বিবাদে একজন আরেকজনকে শায়েস্তা করতে প্যান্ট নামায়ে তার পুরুষাঙ্গ বাইর করলেন। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করলেন। তাহলে এইটা অপরাধের কোন ধারায় পড়বে? নিছক বিবাদ, সহিংসতা। নাকি যৌন সহিংসতা। পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন তো যৌনতার বিকৃতি থেকেই উদ্ভব।
অপরপক্ষকে সাইজ করতে যৌনাঙ্গ দেখানো- তাহলে ভিকটিমের জেন্ডার দেখে অপরাধের নাম বদলায়ে যাবে কেন? যৌন বিকৃতিকে এইখানে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হইসে। এটাই নাকি কালচার। এখন এক পুরুষ আরেক পুরুষরে দেখায়। প্রয়োজনে নারীরেও নিশ্চয়ই দেখায়। পার্থক্য হইলো, পুরুষ যখন পুরুষরে দেখায় তখন হয়তো প্রতিপক্ষও দেখায়ে দেয়। ইটের বদলে পাটকেল। কিন্তু যখন কোনো নারীরে দেখায়, নারী হয়তো দেখাইতে পারে না। আবার ধরেন, এরা তো আপনাদের ‘কালচার’ লালন করতেসে। এখন মনে করেন আপনে পুরুষ, গেছেন চিটাগং, গিয়া পড়লেন এক ঝগড়ার মাঝখানে। হয়তো আপনি ঝগড়া পার্টির কোনো এক পক্ষের আত্মীয়। তো সেই ঝগড়ার মাঝখানে বিরোধী পক্ষের পুরুষ আপনাকে প্রতিপক্ষ জেনে পুরুষাঙ্গ দেখায়ে দিলো লুঙ্গি তুলে, আপনি কী হয়রানি হবেন না। এই হয়রানিটা কী হয়রানি, যৌন হয়রানি না। আইনের ভাষায় কী লেখা আছে জানি না। তবে আমি মনে করি, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্যান্ট খুইলা নুনু আর বিচি দেখায়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃত্য করা একটি চরম গর্হিত অপরাধ এবং সেটি যৌন অপরাধই, তা সে যার সাথে করুক না কেন। যদি উভয় পক্ষ করে থাকে তবে উভয় পক্ষেরই শাস্তি হতে হবে। কথা পরিষ্কার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :