বাবুল আক্তার : [২] গত ২০ দিনের অভিযানে স্বাস্থ্য বিভাগ ১৭টি অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। একসাথে এতগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রীতিমতো রেকর্ড সৃষ্টি করেছে যশোর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
[৩] সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় মোট বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ২৬২টি। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত ২১ জুলাই থেকে অভিযান শুরু করেছে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ, যা পর্যায়ক্রমে অব্যাহত ভাবে চলবে। ৯ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে ১৭টি হাসপাতাল কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
[৪] বন্ধ হওয়া হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো যশোর শহরের নওয়াপাড়া রোডের ল্যাবজোন হাসপাতাল, দেশ ক্লিনিকের ডায়াগনস্টিক, যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম, মুজিব সড়কের ল্যাব এইড হাসপাতাল, সদরের বসুন্দিয়ার মহুয়া ক্লিনিক।
[৫] খাজুরার মাতৃভাষা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফারিহা হাসপাতাল, মণিরামপুর উপজেলার মুন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (হাসপাতাল মোড় শাখা), নিউ প্রগতি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (কুয়াদা শাখা), চৌগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ কিনিক, মায়ের দোয়া পাইভেট কিনিক, বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পল্লবী ক্লিনিক।
[৬] যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, জেলার অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান অভিযান বা পরিদর্শন করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নানা অনিয়মের মধ্যদিয়ে অবৈধভাবে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
[৭] ইতোমধ্যে ১৭ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৪টি প্রতিষ্ঠানে নানা দোষত্রুটি সংশোধনের জন্য আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে মালিকপক্ষ ত্রুটি সংশোধনে ব্যর্থ হলে পরবর্তী পরিদর্শনের সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :