রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওই চিঠিতে শিক্ষাবিদরা লিখেছেন এই পরীক্ষা গ্রহণে আর যদি বিলম্ব হয় তাহলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে। বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর আহ্বানে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন সাত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে রায় পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করুক। না করলে তারাই শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] শুক্রবার এই ইস্যুতে ভারতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। শিক্ষাবিদরা চিঠিতে মোদীকে এও বলেছেন কেউ কেউ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছেন। পরীক্ষা ও ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে লাখ লাখ ছেলেমেয়ের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত তা নিরসন করা।
[৪] শিক্ষাবিদরা বলেন মহামারীর অযুহাতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, স্বপ্ন নিয়ে আপস করা উচিত হবে না। যে দিন নির্ধারিত হয়েছে, সেই দিনগুলিতেই ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা হোক। কোনও কিছুর বিনিময়েই এই সময় আমরা লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে দিতে পারব না।
[৫] শিক্ষাবিদদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, আইআইটি দিল্লি, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, উপাচার্যরা। একই সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-সহ জেরুজালেম, ইসরায়েলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ভারতীয় অধ্যাপকরাও এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
আপনার মতামত লিখুন :