কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] জাতিসংঘের সাকে মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে পরিচালিত অ্যাডভাইজরি কমিশনের দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
[৩] ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস এর বিবৃতিতে বলা হয়, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার ও দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
[৪] মরগান অর্টাগাস বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ বাড়ার প্রেক্ষাপটে আমরা সহিংসতার অবসান, সংলাপ, স্থানীয় জনগণের সুরক্ষায় অব্যাহত প্রচেষ্টা ও মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার বাধামুক্ত প্রবেশের দাবি জানাচ্ছি।
[৫] মিয়ানমারে এখনো বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগমুক্ত হতে পারছে না।
[৬] এ ধরনের পরিস্থিতি শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কমায় এবং শান্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে।
[৭] যুক্তরাষ্ট্র ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে ও নৃশংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে।
[৮] গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, গুরুতর মানবাধিকার লংঘনে জড়িত শীর্ষ সামরিক নেতা ও সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোর উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতিসংঘের তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা এবং মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কার্যক্রমে পুরোপুরিভাবে অংশ নিতে ও আদালতের রায় মেনে নিতে উৎসাহিত করা।
[৯] বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :