সালেহ্ বিপ্লব: [২] আকারে ছোটো হলেও ব্যাজার কিছুকেই পরোয়া করে না, প্রকৃতি তাকে ভয়ংকর অস্ত্রে সাজিয়েছে। দীর্ঘ ও শক্তিশালী নখর এবং তীক্ষè ও ধারালো দাঁত। মজবুত চোয়ালে কাছিমের খোলসও গুঁড়ো হয়ে যায়। হাড়গোড়সহ চিবিয়ে শিকারের আপাদমস্তক খেয়ে ফেলে। দেহের চামড়া পুরু, রাবারের মতো। ছুরি দিয়ে কাটা যায় না, বর্শা বা বল্লম ছুঁড়লে শরীরে লেগে ফিরে আসে। জার্নাল পোস্ট, ইউটিউব, উইকিপিডিয়া, গিনেজ রেকর্ড
[৩] কয়েক মিনিটের মধ্যে মাটিতে লুকানোর মতো গর্ত খুঁড়ে নিতে পারে অস্থির চিত্তের দুর্দান্ত শিকারী প্রাণীটি। বসবাস আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারত। এরা একাই চলাফেরা করে, জোড়া বাঁধে প্রজনন কালে।
[৪] বিভিন্ন চেহারা ও আকৃতির ব্যাজার আছে। সবচেয়ে বড়ো হয় ইউরোপিয়ান ব্যাজার, প্রায় সাড়ে তিন ফুট। হানি ব্যাজার একদম ছোটো, বেজির মতোই।
[৫] প্রাণীটির খাদ্য তালিকায় রয়েছে শজারু, ছোট কুমির, তরমুজ, বেরি, শিকড়, বিচ্ছু, সাপ, ডিম, পোকামাকড়, ইঁদুর, পাখি, ফল, ব্যাঙ, মানুষের মরদেহ, মধু, ভেড়া, ঘোড়া এবং আরো অনেক কিছু। ব্যাজারের গড় আয়ু ২৪ বছর।
[৬] এরা প্রতিদিন পেটের অর্ধেক ভরায় সাপ খেয়ে। বিষাক্ত সাপে কামড়ালে কিছু হয় না। বড়ো জোর ঘণ্টা-দু’ঘণ্টা বেহুঁশ, তারপর আবার ঠিক। ব্যাজারের সামনে সাপ পড়লেই খতম।
[৭] সাফারিতে গিয়ে ব্যাজারের শিকার করা দেখেছেন পর্যটক ল্যারি হার্নান্দেজ। ফেসবুকে তার ভিডিওতে দেখা গেলো, ৬ ফুটের এক পাইথনকে মেরে ফেলেছে সর্বভূক প্রাণীটি। সঙ্গী ছিলো এক খেঁকশিয়াল।
https://www.facebook.com/larry.hernandez/videos/318821502474849/?t=4
আপনার মতামত লিখুন :