শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ০৩:৩৯ রাত
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ০৩:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] খুন হওয়া কিশোরী জীবিত উদ্ধার, নারায়ণগঞ্জের সেই এসআই প্রত্যাহার

জেরিন আহমেদ: [২] বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রী (১৪) গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম।

[৩] তিনি আরো জনান, স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে। একটি হলো আসামিরা হত্যা ও গণধর্ষণ না করেও কেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন ও কীভাবে তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিলেন।

[৪] তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামির স্বজনদের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি আসামির স্বজনরা অভিযোগ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন; ভয়ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছেন আসামিদের। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আসামির স্বজনরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেননি। এরপরও প্রত্যেকটি অভিযোগ নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখব আমরা। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।

[৫] নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ৪৯ দিন পর ফিরে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে আত্মগোপনে থাকা কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ‘পুলিশি নির্যাতনে গণধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিন যুবক’ এমন অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ। একই সঙ্গে মামলা পুনরায় তদন্তের জন্য সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

[৬] নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে স্কুলছাত্রীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। এরপর বিকেলে আদালতে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

[৭] জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার স্কুলছাত্রী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন স্কুলছাত্রীর বাবা।

[৮] এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। ওই দিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনায় দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)।

[৯] গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে। সে নিজে তার মাকে একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকান থেকে কল করে চার হাজার টাকা চায়! বাবা-মা এতে অবাক হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে তারা থানায় হাজির হন। তাদের সঙ্গে ছিল কিশোরীর স্বামী ইব্রাহিম। তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেয়া জবানবন্দিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়