মনিরুল ইসলাম: [২] তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এ আহবান জানিয়েছে।
[৩] ফুলবাড়ির শহীদদের স্মরণে আজ বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় অবিলম্বে ফুলবাড়ি চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরো জানানো হয়, ফুলবাড়ি আন্দোলনের শহীদ তরিকুল, সালেহীন, আল-আমিন স্মরণে জাতীয় কমিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
[৪] সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ফুলবাড়ি আন্দোলনে জনগণের চাপে সরকার চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল। ওই সময় বিরোধী দলের নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘চুক্তি না মানার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’ কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। বরং সরকার বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে উন্মুক্ত খনি করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। জনগণ এই চক্রান্ত মেনে নেবে না। তিনি অবিলম্বে ফুলবাড়ি, রামপাল, রূপপুর, মাতারবাড়িসহ প্রকৃতি-পরিবেশ বিনাশি সকল প্রকল্প বাতিল করার দাবি জানান।
[৫] সমাবেশ থেকে এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) কে দেশ থেকে বহিস্কার, ফুলবাড়ি চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন ও ফুলবাড়ি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশে সুলভমূল্য গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ, প্রাণ বিনাশি প্রকল্প বাতিল করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
[৬] সভায় ফুলবাড়ির শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ফুলবাড়িসহ দেশের সর্বত্র যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আন্দোলনরত জনতার উপর পুলিশ ও বিডিআর গুলি চালায়। এতে ৩ জন শহীদ হন ও শতাধিক আহত হন। প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সরকার ৩০ আগস্ট আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে চুক্তি করে। কিন্তু ওই চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :