শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ০১:২৫ রাত
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ০১:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চৌগাছায় ১০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে

রহিদুল খান: [২] যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভিনদেশী ড্রাগন ফল। স্থানীয় উদ্যোক্তা ইসমাইল হোসেন প্রথমে ড্রাগন চাষে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করে সফলতা অর্জন করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে তার সফলতা দেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই ১০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন বাগানের মালিকরা।

[৩] উপজেলার তিলকপুর গ্রামের একছের আলীর ছেলে ইসলামাঈল। তার ছোট বেলার শখ ছিল কৃষির উপর ব্যাতিক্রম কিছু করা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে চাকুরি নেন একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে। অসুস্থতার কারনে চাকরি ছেড়ে থাই পেয়ারা, আপেল ও বাউ কূলের বাগান করেন তিনি। নতুন কিছু করার চিন্তায় ইন্টারনেটে ড্রাগন চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন তিনি।

[৪] ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারা এনে নিজের দুই বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। বর্তামনে ১০ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ রয়েছে তার। তনি জানান, প্রতিবছর প্রতি একর বাগান থেকে বছরে প্রথম পর্যায়ে ৬/৭ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া চারা বিক্রি করে আরো কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

[৫] কয়েকজন চাষী জানান, প্রতি বছরই এই গাছ বড় হবে এবং ফলের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। একটানা বছরের ৭ মাস এই ফল পাওয়া যায়। এবং একবার চারা লাগালে ৩০ থেকে ৪০ বছর একইভাবে ফল হয়। ফলে কাঙ্খিত পরিমাণে লাভবান হওয়া সম্ভব।

[৬] উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বুন্দলিতলা গ্রামের চাষী সোলাইমান হোসেন জানান, প্রথম পর্যায়ে এই বাগানে এতো টাকা বিনিয়োগ করে ড্রাগন চাষ করা স্বপ্নে দেখা কল্প কাহিনির মত মনে করতাম। তার পরেও ড্রাগন বাগান তৈরি করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। এক পর্যায়ে নিজের ভূষি মালের ব্যবসা বন্ধ করে প্রথমে ১ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করি।

[৭] তিনি জানান, ১ বিঘা জমিতে বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাগানের দেড় বছর বয়সে তিনি চারা ও ড্রাগন ফল বিক্রি করে ৪ লাখেরও বেশি টাকা আয় করেছেন। প্রতি কেজি ড্রাগন গড়ে ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ভালা লাভ হওয়ায় তিনি এ বছরে আরো ১ বিঘা জমিতে নতুন বাগান করেছেন। সোলাইমান আরো জানান, ড্রাগনের সাথে সাথি ফসল হিসেবে পেয়ারা চাষ রয়েছে যেখান ড্রাগন পরিচর্জার সকল খরচ উঠে আসে। বরং কিছু টাকা লাভ থাকে।

[৮] সিংহঝুলী গ্রামের প্রবাস ফেরত মিঠু খান জানান, বিদেশ থেকে বাড়ি এসে কি করবো চিন্তা করছিলাম । এ সময় সৌখিন চাষ হিসেবে ড্রাগন চাষের কথা মাথায় আসে আবরি বাজারে ড্রাগন ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যে কারনে তিনি ৯ বিঘা জমিতে ড্রাগন বাগান করেছেন। বাগানের বয়স ১ বছর হয়েছে। গাছ ফল আসতে শুরু করেছে। তিনি অল্প কিছু ড্রাগনফল প্রতি কেজি ৩/৪’শ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

[৯] চাষীরা জানান ভেষজ জাতীয় এ ফল অত্যান্ত লাভজনক। এই ফল চাষ করার জন্য জৈব সারই যথেষ্ট। অতিরিক্ত অন্য কোনো সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে খরিদ্দাররা বাগানে এসে কিনে নিয়ে যায়।

[১০] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, চৌগাছা এলাকা ড্রাগন চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে। জমি থেকে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করে বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। মিষ্টি ও হালকা টক জাতীয় স্বাদের নানা পুষ্টিগুণে ভরা ড্রাগন ফল চাষ লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য আমরা চাষিদের উৎসাহিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়