লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ ধাক্কা সামলিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের বিমান খাত। যদিও যাত্রী তেমন বৃদ্ধি পায়নি আর করোনাভাইরাসের প্রকোপ তেমন কমেনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন।
[৩] ধীরে ধীরে প্রতি সপ্তাহে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমান সংশ্লীষ্টরা। আর এই বৃদ্ধির কারণে করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাস থেকে বন্ধ হওয়া রুটে পুনরায় শুরু হচ্ছে বিমান চলাচল।
[৪] আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ খাত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইউএসবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতি সপ্তাহে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে এখন সবচেয়ে বেশি চাপ কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেটের। এ গতি অব্যাহত থাকলে শিগগিরই শতভাগে পৌঁছাবে যাত্রী সংখ্যা।
[৫] বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ বাড়লে গত মার্চ মাস থেকে দেশে দেশে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশেও উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে বাংলাদেশও পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রুটে জুনে গড়ে ১০-১৫ ভাগ যাত্রী ছিল। সেটা এখন বেড়েছে। আগস্ট মাসের প্রথম ২০ দিনে গড়ে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির একটি আনুমানিক হিসেব পাওয়া গেছে।
[৬] স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য যে ২৫ শতাংশ আসন খালি রাখতে হয়, সেটা তুলে দিলে শতভাগ যাত্রী বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।