লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টি দেশ ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের (স্ন্যাপব্যাক) মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ইন্দোনেশিয়ার দিয়ান ত্রিয়ানসাহ দজনি বলেন, এর ফলে ইরানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার আর কোনো অবস্থা নেই। আল জাজিরা
[৩]পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন ও জার্মানির। চুক্তিতে বলা হয়েছিলো, ইরান পরামাণু কর্মসূচী থেকে সরে দাঁড়ালে দেশটির ওপর চাপানো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। এর ফলে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বর্হিবিশ্বের অস্ত্র বাজারে প্রবেশ করতে পারবে ইরান। চুক্তিতে আরো বলা হয়, ইরান চুক্তির শর্ত না মানলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে (স্ল্যাপব্যাক)।
[৪] গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনবর্হালের প্রস্তাব আনলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। ২০ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে পম্পেও দাবী করেন, ‘স্ল্যাপব্যাক’ আইনে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর অধিকার কাছে।
[৫]এদিকে পশ্চিমা ও ইউরোপিয় দেশগুলোর মতে, ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রশ্ন আসছে না। এছাড়া ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরান চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ায় ‘স্ল্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালুর অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
[৪]প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি কেলি ক্রাফট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ পথ হারিয়ে ফেলেছে এবং ‘সন্ত্রাসীদের’ পক্ষ অবলম্বন করছে।
[৫]ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বর্হিবিশ্বে একঘরে হয়ে পড়ছে। ট্রাম্পকে বলপ্রয়োগ নীতি পরিহার করতে হবে।’ দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ক্ষমা চেয়ে চুক্তিতে ফিরতে রাজি হয় তবে আমরা আলোচনার টেবিলে আসবো।’ তিনি আরো বলেন, আশা করছি পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন ইরান নীতিতে পরিবর্তন আনবে। এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচিত হওয়ার চার সপ্তাহের মাথায় ইরানের সঙ্গে চুক্তি করবেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :