বাশার নূরু: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সোপান হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন।
[৩] তিনি বলেন, ৬ দফা আন্দোলন এক পর্যায়ে এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা লুফে নিয়েছিল। এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসল। নিজে লিখতেন আর মোহাম্মদ হানিফকে দিয়ে টাইপ করাতেন। একমাত্র হানিফ ছাড়া আর কেউ জানতো না। এই ৬ দফা নিয়ে তিনি যখনই আলোচনা করেছেন তখনই আমাদের জাতীয় পতাকা কী হবে, জাতীয় সংগীত কী হবে, জাতীয় স্লোগান কী হবে সেটা নিয়েও আলোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এই ৬ দফার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে তো ছিলই, এদেশেও দালাল তৈরি হয়। ৬ দফার পরিবর্তে ৮ দফা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তখন বঙ্গবন্ধু জেলে। কিন্তু আমার মা এ ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের মিটিং হয় সেখানে ৬ দফার পক্ষেই সিদ্ধান্ত হয়।
[৪] শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যেই পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথ ধরেই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই বাংলাদেশকে যদি আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করতে চাই তাহলে অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের এই বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হবে।
[৬] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন ঐতিহাসিক ৬ দফা নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
[৭] প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২ লাখ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ১ লাখ টাকার চেক ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :