লিহান লিমা: [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রিপাবলিকান দলের নির্বাচনি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবিরোধী’ এবং ‘আলোচনার অগ্রাধিকারভিত্তিক’ পররাষ্ট্রনীতির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন রিপাবিলকানরা। এপি
[৩] সিনেটর র্যান্ড পল বলেন, ‘ট্রাম্প সবসময়ই যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে চেয়েছেন বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধ বয়ে নিতে লড়াই করে না। মধ্যপ্রাচ্যের কাদাজলে আমরা নিজেদের রক্ত এবং সম্পদ বিসর্জন দিতে পারি না।’
[৪] পল আরো বলেন, ‘ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন ইরাক যুদ্ধসহ অন্যান্য মার্কিন হস্তক্ষেপে সমর্থন দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে তিনি আবার যুদ্ধ শুরু করবেন। তিনি সার্বিয়া, সিরিয়া, লিবিয়াতে আবার রক্তপাত আরাম্ভ করবেন। যেখানে ট্রাম্প আমাদের সৈনিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন।’
[৫] পল বলেন, ‘আপনি যদি যুদ্ধ অপছন্দ করেন, যদি আপনি চান আমরা প্রতি বছর আফগানিস্তানে সড়ক এবং ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানো বন্ধ করি, তবে আপনার ট্রাম্পকে সমর্থন করা প্রয়োজন।
[৬] বিদেশ সফররত অবস্থায় জেরুজালেম থেকে দেয়া ভিডিওবার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বের প্রতিটি স্থানে নেত্বত্ব দিচ্ছেন এবং ভূমিকা রাখছেন। পম্পেও চীন, উত্তর কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ন্যাটোকে শক্তিশালী করা নিয়ে ট্রাম্পের নীতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘তার আমেরিকা ফার্স্ট নীতির কারণে তিনি হয়তো বিশ্বের সব স্থানে জনপ্রিয় নন কিন্তু এটি কাজ করছে।’
[৭]এই সময় তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কথা উল্লেখ করে পম্পেও বলেন, ‘একজন দক্ষ চুক্তিবিদের মতো ট্রাম্প ইসরায়েল এবং আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে এনেছেন। কোনো পরমাণু পরীক্ষা হয় নি, দীর্ঘমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হয় নি, এবং পিয়ংইয়ংয়ে বন্দি মার্কিনিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
[৮] এদিকে হাউসের ডেমোক্রেট দলের চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকাকালে রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে মাইক পম্পেওর সম্মেলনে উপস্থিতি রাষ্ট্রীয় আইন এবং নিয়ম লঙ্ঘন করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ তবে রিপাবলিকান দল বলছে, ‘তিন দফায় আইনজীবীর দ্বারা এটি খতিয়ে দেখা হয়েছে, আইন লঙ্ঘন হয় নি।’