বিপ্লব বিশ্বাস: [২]সালমা বেগম। বয়স ১০০ বছর পেরিয়েছে। রংপুর নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের বসুনিয়া পাড়ায় থাকেন। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই, ৮ সন্তানের জননী এই অসহায় বৃদ্ধাকে সন্তানরা দেখভাল না করায় করুণ পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর তার অবস্থা আরো করুন হয়ে উঠে।
[৪]"উই আর বাংলাদেশ" নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই বৃদ্ধার করুণ অবস্থা তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দেন। আর এই পোস্ট দেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র রংপুরের এসপি বিপ্লব সরকার।
[৫]আজ দুপুরে "উই আর বাংলাদেশ" এর আর্থিক সহযোগিতা ও জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গৃহহীন অসহায় বৃদ্ধাকে একটি বাড়ী উপহার দেয়া হয়। রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) ও "উই আর বাংলাদেশ" গ্রুপের এডমিন জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে বাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসপি বিপ্লব সরকার।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৮ সন্তানের মধ্যে ৭ জনই খোঁজ খবর নেননা। তবে তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ও অসুস্থ ছেলে ও তার স্ত্রী একটু দেখাশোনা করেন।বেশিরভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিন। থাকতেন এক ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে। তারপরেও পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। [৫]স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান, এর আগে তার ছেলে বয়স্ক ভাতার জন্য আমার কাছে আসলেও তার মা যে বেঁচে আছেন এটা আমি জানতামই না। এখন থেকে নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখবো।
[৬]এসময় পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সওয়াবের কাজ। সমাজের অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জনাব আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) রংপুর, জনাব মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল)সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :