শরীফ শাওন: [২] আবুল কালাম আব্দুল মোমেন আরও বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমার আইনের চাপে আছে। এরইমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়াও সঙ্কট নিরসনে আমরা মিয়ানমার-চীন-বাংলাদেশ মিলে কাজ করছি। বিশ্ব সম্প্রদায়কে পাশে নিয়ে আর্ন্তজাতিক চাপের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানে আশাবাদী সরকার।
[৩] তিনি বলেন, মিয়ানমার স্বীকার করেছে তারা লোক ফিরিয়ে নেবে। ৭৮ ও ৯২ সালে অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আসলে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরাতে সরকার সক্ষম হয়েছে, এবারও হবে।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইসের সময় নিয়মিত বৈঠক না হলেও এসময় আমাদের দেশে থাকা ৬ লাখ রোহিঙ্গার নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে মিয়ানমারে পাঠিয়েছি। মিয়ানমার তা যাচাই করে ৩০ হাজার লোকের নাম-ঠিকানা সম্বলিত তালিকা আমাদের দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চলছে।
[৫] মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক চিঠিতে বলেন, রোহিঙ্গাদের দেশে যাওয়া উচিত। এটাও আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তবে রোহিঙ্গাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারটি নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :