শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘প্রশ্নগুলো আমলে নেওয়া হচ্ছে না কেন’: অনলাইনে সরব হাজারো মানুষ

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম  : লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধিকার কর্মী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট থেকে শুরু করে নানা পেশার কয়েক হাজার মানুষ অনলাইনে সরব হয়েছেন একটি দাবিতে; বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এবং পূর্বাপর ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলো কেন আমলে নেওয়া হচ্ছে না, তা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের কাছে জানতে চেয়েছেন তারা।

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দায়ের করা ওই মামলাকে ‘হয়রানিমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জোর দাবি তারা জানিয়েছেন।

শুরুটা করেছিলেন সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি বিবৃতি তিনি শনিবার ফেইসবুকে পোস্ট করেন।

ওই বিবৃতির সঙ্গে একমত হলে তা যার যার টাইমলাইনে পোস্ট করে ‘একটি অন্যায় আরোপের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিবাদে’ পাশে থাকার আহ্বান জানান পিয়াল। এরপর তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে ওয়াল থেকে ওয়ালে।

পিয়াল জানান, কেবল তার টাইম লাইন থেকেই ওই পোস্ট শেয়ার হয়েছে ৪০ বার। এছাড়া কপি করেছে প্রায় হাজার খানেক মানুষ। তাদের টাইম লাইন থেকেও শেয়ার ও কপি হয়েছে। সব পোস্টেই সম্মতি জানিয়ে অনেকে সাড়া দিয়েছেন।

“আমি যতটুকু বুঝি, কম করে হলেও হাজার বিশেক মানুষ এক রাতেই ওই পোস্টের সাথে সহমত জানিয়ে সমর্থন দিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম গতবছর অক্টোবরে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার খবর জানানোর পরে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দেয় দুদক, যার ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুলাই মামলা করা হয় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে।

সেখানে অভিযোগ করা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যা ‘ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে’ তিনি অর্জন করেছেন।

অথচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং তৌফিক ইমরোজ খালিদীর হাতে থাকা কোম্পানির কিছু শেয়ার বিক্রি করে যে ওই টাকা এসেছে এবং সেই টাকাই যে চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে, সে কথা দুদকের ওই এজাহারেই বলা হয়েছে।

বরাবর দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা তৌফিক ইমরোজ খালিদী দুদকের অনুসন্ধানের শুরুতেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন ‘খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ’ করেছে। বস্তুনিষ্ঠ ও উদাহরণযোগ্য সাংবাদিকতার মূল্য এখন তাদের ‘এভাবে’ দিতে হচ্ছে।

সে বিষয়টি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওই বক্তব্যে যে ইংগিত তিনি (তৌফিক ইমরোজ খালিদী) দিয়েছিলেন, তা আদৌ আমলে নেওয়া হয়নি বলে আমরা উদ্বিগ্ন। অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যার অবস্থান স্বীকৃত, তেমন একজন সাংবাদিককে হয়রানিতে ফেলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”

ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় তা খতিয়ে দেখার এখতিয়ার দুদক রাখে।

“তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাদের বিনিয়োগপ্রাপ্তির খবর প্রকাশের পর রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ যে ত্বরিৎ গতিতে অনুসন্ধানে উদ্যোগী হয়েছে এবং একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন সম্পাদকের চরিত্র হনন করে যেভাবে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে, তা বিস্ময় ও সন্দেহের উদ্রেক করে বৈকি।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিনিয়োগপ্রাপ্তির পর যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হল এবং যেভাবে অভিযোগের ভাষা সময়ে সময়ে পাল্টে গেল, তাতে ‘সন্দেহের উদ্রেক হওয়া অস্বাভাবিক নয়’ বলেই মনে করছেন বিবৃতিদাতা ও সমর্থনদাতারা।

তারা বলেছেন, “নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং পাঠক মহলে নির্ভরযোগ্য সংবাদ-মাধ্যম হিসেবে সুবিদিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম চক্রান্তের শিকার হতে পারে।

“বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের সময় এ সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের বিষয়ে সব সময় সোচ্চার থাকা এবং সর্বোপরি সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ ‘প্রভাবশালী’ মহলের কতিপয় অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একটি মহলের ‘টার্গেটে’ পরিণত হয়ে থাকতে পারে।”

‘মৌলবাদবিরোধী অবস্থান ও গণতন্ত্রের পক্ষে সাংবাদিকতার বড় উদাহরণ’ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ঘিরে এই ঘটনাপ্রবাহের পেছনে ‘কূটচক্রের আভাস মিলছে, মন্তব্য করে ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার শেকড় অনুসন্ধানের’ জন্য রাষ্ট্রের অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

সেখানে প্রশ্ন রাখা হয়েছে-

১. যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোষের শিকার হওয়ার কথা তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেছেন, তারা কারা? তাদের বিষয়ে কেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে না?

২. প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারণেই কি মৌলবাদী এবং অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে? তারা কি রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো অংশকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে?

৩. একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হিসেবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে কোন উদ্দেশ্য তারা হাসিল করতে চায়?

অমি রহমান পিয়াল ওই বিবৃতি পোস্ট করার পর যারা সমর্থন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন গবেষক ও প্রাবন্ধিক গোলাম মুরশিদ, বিজ্ঞানী ও লেখক দীপেন ভট্টাচার্য, কবি ও প্রাবন্ধিক গোলাম ফারুক খান, অভিনেত্রী ও কবি লুৎফুন্নাহার লতা, কবি ও প্রাবন্ধিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক জাকির তালুকদার, বিজ্ঞানলেখক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, কথাসাহিত্যিক মাসুদা ভাট্টি।

সাংবাদিক গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক শান্তা মারিয়া, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষক মাসকাওয়াথ আহসান, কবি ও সাংবাদিক শিমুল সালাহ্উদ্দিনও সমর্থন জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সহমত জানিয়েছেন সাংবাদিক ও কলামনিস্ট বিভুরঞ্জন সরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সালেক খোকন, উন্নয়নকর্মী ও কলামনিস্ট চিররঞ্জন সরকার, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সঙ্গীতা ইমাম, আরিফ জেবতিক, ইমরান এইচ সরকার, মারুফ রসুল, পরিবেশবাদী আন্দোলনের কর্মী ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক আনোয়ার কবির, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আবু নাসের রাজীব, লগ অন কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সিইও ফেরদৌস শিবলী, জাহাজী অ্যাপের সিইও কাজল আব্দুল্লাহ, এনজিওকর্মী ও লেখক মুক্তি মণ্ডলসহ নানা পেশার বহু মানুষ একাত্মতা জানিয়েছেন ওই দাবির সঙ্গে।

দুর্নীতির কথিত অভিযোগে দুদক ওই অনুসন্ধান শুরু করার পর গত ২৫ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত কলামে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। কেন, কোন প্রেক্ষাপটে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম শেয়ার বিক্রি করেছে, কীভাবে সেই চুক্তি হয়েছে, সেই বিনিয়োগের টাকা কোথায় কীভাবে আছে, সেসব বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তিনি সেখানে তুলে ধরেন।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী সেখানে বলেন, “শুধু দুদক নয়, আরও একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করেছে প্রকাশ্যে এবং অন্তরালে থেকে। তার কারণ হল, দুদকের পদক্ষেপ দৃশ্যমান হওয়ার আগে যে অভিযোগ বা গুজবগুলো সোশাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, তা আসলেই গুরুতর।

“সবচেয়ে ক্রূর অংশটি হল, অভিযোগ রটনাকারী পক্ষ খুব ভালোভাবে জানত যে ওই অর্থের (যে টাকা এলআর গ্লোবাল বিনিয়োগ করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশে নিবন্ধিত দুটো কোম্পানির মধ্যে, বাংলাদেশের ভেতরে, এবং বাংলাদেশের সব আইন-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করে। তারপরও সেই শক্তিশালী আর হিংসাপরায়ণ পক্ষটিকে অন্তরালে থেকে তাদের সেই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। অপপ্রচার চালাতে যারা তাদের সহযোগিতা করেছে, তারাও সব জেনেশুনেই করেছে। আর সর্বোপরি, শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের অবহিত করতে যারা এ বিষয়ে ‘প্রতিবেদন’ তৈরি করেছেন, তারাও পুরোপুরি অবগত ছিলেন। তারা সবকিছু জানতেন না, এমন বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।”

তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নিবন্ধে প্রশ্ন রেখেছেন- “যে সংবাদমাধ্যমকে দেশের একমাত্র স্বাধীন সংবাদ প্রকাশক হিসেবে অনেকে বিবেচনা করে থাকেন, সেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ক্ষতি করে কার স্বার্থ তারা হাসিল করতে চান? বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং যিনি এর নেতৃত্বে, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করে কার কী লাভ?”

গতবছর ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ ও অসুন্ধান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

এ বিষয়গুলো কেন গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন এসেছে অনলাইনে হাজারো মানুষের সমর্থন পাওয়া ওই বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তারা দেখেন, সেই ধারণার পক্ষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভূমিকা ছিল ‘বরাবরই প্রশ্নাতীত’।

“বাংলাদেশের সংবাদ সেবাকে ইন্টারনেট যুগে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভূমিকা সবারই জানা। আর কঠিন সময়েও বস্তুনিষ্ঠতার নজির স্থাপন করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সবার আস্থার সংবাদমাধ্যমে পরিণত করার ক্ষেত্রে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ভূমিকাও ওয়াকিবহাল মহলের অজানা নয়।”

সে কারণে ‘হয়রানিমূলক’ ওই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারেরের পাশাপাশি এর পেছনে কারা আছে, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

রাষ্ট্রের অভিভাবকদের উদ্দেশে সেখানে বলা হয়েছে, “একটি আস্থাভাজন সংবাদমাধ্যম এবং তার প্রধান সম্পাদককে বেআইনিভাবে হয়রানির মধ্যে ফেলা হলে তা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে যেমন বিপদগ্রস্ত করবে, তেমনি প্রগতির পক্ষে কাজ করা বুদ্ধিজীবী, পরামর্শদাতা এবং সাধারণ নাগরিকদের নৈতিক চেতনাকে দারুণভাবে আহত করবে।”

অমি রহমান পিয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং মৌলবাদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে থাকা মূলধারার মিডিয়া বিরল। অনলাইনে তো চোখেই পড়ে না। একমাত্র ব্যতিক্রম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং এই আপোষহীন অবস্থানের একমাত্র কারণ তৌফিক ইমরোজ খালিদী, যিনি এর প্রধান সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একটা শক্ত জমিন এবং লড়াইয়ের প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য একজন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে তার কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঋণ অনুভব করি।

“তাই তাকে যখন অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত হয়, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র হয়, তখন প্রতিবাদ করা, প্রতিরোধ গড়া দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। সেই জায়গা থেকে সামাজিক প্রতিবাদমূলক ওই বিবৃতি আমি শেয়ার করেছিলাম, যাতে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। অনেকেই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন; বার্তা একটাই- এমন অন্যায় মুখ বুজে মেনে নেবে না কেউ।”

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়