সমীরণ রায়: [২] গল্প, উপন্যাস ও কবিতার লেখালেখির মধ্যে দিয়ে জীবনের পথ চলা শুরু হলেও এখন নারী ও তার আত্ম-মর্যদার অধিকার আদায়ে এগিয়ে চলেছেন সুলতানা ফিরদৌসী। একাধারে কবি, লেখক, উপন্যাসিক ও গল্পকারও তিনি। তিনি নারীদের নিয়ে “কালি” নামের সংগঠনের মাধ্যমে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।
[৩] সুলতানা ফিরদৌসী বলেন, লেখক হতে চাওয়া জীবনে একটা কাকতালীয় ঘটনা। শুরু হয়েছিল ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতে গিয়ে। জীবনের দিনলিপি লেখা ছিলো অভ্যাস। প্রতিদিনের ঘটনা না লিখলে পেটের ভাত হজম হতো না। মাঝে মধ্যে কিছু ছোট গল্প উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেছিলাম। তবে কবিতায় বেশি স্বছন্দ বোধ করি। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রজেক্টের আওতায় আসতে পেরে উপকৃত হয়েছি।
[৪] তিনি বলেন, লেখা শুরু হয়েছিলো আবেগ দিয়ে। আবহাওয়া বদলে যায়, অধিকাংশ স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে কষ্ট, তখন লিখতে ইচ্ছে করে টানটান উত্তেজনা নিয়ে লিখি।
[৫] ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করা সুলতানা ফিরদৌসী’র প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কীট ও দ্রোনপুষ্প’। ডায়লগ পাবলিকেশন থেকে বের হয় তার দ্বিতীয় বই উপন্যাস ‘তৃতীয় পক্ষ’। ২০০৫ সালে দশটি ছোট গল্প নিয়ে আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় গদ্ধ ‘এবার ঘরে ফেরার পালা’। এরপর সুলতানার শ্রাবন প্রকাশনী থেকে ‘বৃক্ষেরা ভিজে যায়’ নামক কাব্যগ্রন্থ বের হয়। ২০১৯ সালে অনুবাদ উৎসবে একটি অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ বেরিয়ে ছিল ‘ এ গার্ল হ্যাস নো নেইম’।
আপনার মতামত লিখুন :