দেবদুলাল মুন্না:[২] এ কথা কাউন্টার পাঞ্চের কাছে গত সোমবার বলেন তিনি। শান্তিনিকেতনের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তার লেখা সাতপাতার একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করা করেন। সেখানে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি আঞ্চলিকতাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই ঐতিহ্য বজায় রেখে সংস্কার কাজ করা যেতে পারে।
[৩] এ কথা বলার কারণ শান্তিনিকেতনে কয়েকদিন থেকে পাঁচিল সংস্কারের কাজ চলছে। একটি পক্ষ চাচ্ছে রবীন্দ্রভারতীর তত্ত্বাবধানে এ কাজ হোক । অন্যপক্ষ চাচ্ছে রাজ্যসভার অধীনে কাজ হোক।গত রোববার পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত দাবি করেন, পরিবেশ আদালতের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে বিশ্বভারতী। রাবীন্দ্রিক হিসেবে বহিরাগতদের কোনও স্থিতাধিকার নেই। এ নিয়ে পরিবেশ আদালতেও মামলা করা হয়েছে।
[৪] এ বিতর্কের প্রেক্ষিতে অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমার ধারণা শব্দ ব্যবহারে শান্তিনিকেতনের উপাচার্য ভুল করেছেন। কারণ রবীন্দ্রনাথ কেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত হবেন ? রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিেেকতন এগুলো সমার্থক। নোবেল প্রাপ্তির টাকার একটা বড়ো অংশ রবীন্দ্রনাথ ব্যয় করেছিলেন এটি প্রতিষ্ঠায়। ফলে রবীন্দ্রনাথকে ‘কান্ডজ্ঞানহীন’ বলা নির্বুদ্ধিতার সামিল।