লিহান লিমা: [২] চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ঝেং ঝং উই দেশটির সিসিটিভকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, উচ্চঝুঁকিতে থাকা জরুরী কর্মরত ব্যক্তিদের ২২ জুলাই থেকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। সিএনএন
[৩]চীনের রাষ্ট্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোফার্মের উদ্ভাবিত এই টিকার আরব আমিরাত, পেরু, মরক্কো ও আর্জেন্টিনায় এখনো তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।
[৪] ঝেং বলেছেন, ‘আমাদের টিকা আইনের ২০তম ধারার জরুরী জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আইন অনুযায়ী জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার জরুরী প্রয়োগের জন্য খাদ্য ও ঔষধ সংস্থার কাছে আমন্ত্রণ জানায়। তারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার পরই টিকা প্রয়োগ করা হয়।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘আগামী শরত ও শীতে করোনার নতুন সংক্রমণ শুরু পূর্বে পরবর্তী ধাপে টিকার প্রয়োগ করা হবে। আমরা পুরো শহরকে নিরাপদে রাখতে পারবো।’
[৫] চীনা কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ সিনোফার্মের এই টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া যাবে।
[৬] এর আগে জুনে সেনা সদস্যদের ওপর হংকং ভিত্তিক কোম্পানি ক্যানসিনোর টিকা প্রয়োগ করে চীন সরকার। এই টিকা এক বছরের জন্য শুধুমাত্র সেনা সদস্যদের ওপর ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।
[৭] ২০১৮-২২ পর্যন্ত চীনের মানবশরীরে প্রয়োগকৃত টিকার প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদক এবং সরবরাহকারী দেশ। দেশের ৪০টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে ১ বিলিয়নেরও (১০০ কোটি) বেশি টিকা বর্হিবিশ্বে সরবরাহ করে চীন।
আপনার মতামত লিখুন :