আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] জুলাইর ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার বিস্তারিত জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
[৩] গ্রেপ্তার ৭ চোরের মধ্যে ৫ জন আদালতে ম্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। জানিয়েছে, জুলাইর শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী থেকে কারা কীভাবে কম্পিউটার চুরি করেছে।
[৪] গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহম্মাদ ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, আমরা ঢাকা থেকে ৩৪টি কম্পিউটারসহ ৭জন চোরকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি কম্পিউটারগুলোও উদ্ধার অভিযানে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
[৫] তিনি বলেন, কম্পিউটার উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কমকর্তা। শুনেছি এ কারণে নাকি তাকে তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বিষয়টি একান্তই তাদের নিজস্ব।
[৬] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আটক লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ বলেছে, গোপিনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাচ্চু শরীফের ভাই যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের নেতৃত্বে চুরি হয়েছে।
[৭] সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড. নুরউদ্দিন আহম্মেদকে ধমক দিয়েছেন আইন বিভাগের শিক্ষক মো, রাজিউর রহমান। বলেছেন,”চুপ করেন স্যার। আপনি কিন্ত খুব বেশী কথা বলেন।’’ এর বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শাহজানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন রেজিষ্ট্রার। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :