মহসীন কবির: [২] মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সি. আর. দত্ত বীরউত্তম বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন জটিলতায় ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। ডিবিসি টিভি ও বাংলানিউজ
[৩] জেনারেল দত্তের এক পুত্র ও এক কন্যা বাস করেন নিউইয়র্কে। আরেক কন্যা ফ্লোরিডায় এবং চতুর্থ কন্যা থাকেন কানাডায়। এই ৪ সন্তানের বাসায় অবসর জীবন কাটাতের সি আর দত্ত।
[৪] সি আর দত্ত গত ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার তার বাসভবনের বাথরুমে হঠাৎ করে জেনারেল দত্ত পড়ে যান। এতে তার পা ভেঙে যায়। এরপর জেনারেল দত্তকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।
[৫] সি আর দত্ত ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে সরকার। চিত্ত রঞ্জন দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। শিলংয়ের ‘লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুল’-এ দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার বাবা চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হবিগঞ্জে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
[৬] হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তী সময়ে কলকাতার আশুতোষ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়ে ছাত্রাবাসে থাকা শুরু করেন তিনি। পরে খুলনার দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন এবং এই কলেজ থেকেই বিএসসি পাস করেন। সি আর দত্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৫১ সালে। প্রায় ২০ বছর কাটিয়েছেন পশ্চিম পাকিস্তানে। মাঝে মাঝে আসতেন নিজের এলাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :