বিশ্বজিৎ দত্ত : [৩] ভারত ঘোষণা করেছে তাদের আমদানিকারকদের এখন থেকে আমদানি করা পণ্যের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। আপাত এই সিদ্ধান্তকে নিরিহ মনে করা হলেও এই নীতির মাধ্যমে ভারত আসলে পণ্যের রুল অব অরজিনকে চিহ্ণিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
[৪] সম্প্রতি চীনের পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে অনেকেই মনে করেছিলেন, বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন করে চীনা পণ্য ভারতে রপ্তানি করা যাবে। ভারতের নতুন নীতিতে পণ্য উৎপাদনের তথ্য দেয়ার বিষয়টি যুক্ত করায় ভারতে রপ্তানি বিঘ্নিত হতে পারে। কারণ বাংলাদেশি পণ্যের বেশির ভাগই উৎপাদন হয় চীনের কাঁচামালে।
[৫] ৬৭ টি স্বল্পোন্ন দেশ তাদের পণ্য বিনাশুল্কে ভারতে রপ্তানি করে। তাদের মধ্যে গত এক বছরে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ১০৪ কোটি টাকা। এটি প্রতি বছর প্রায় ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ভারতের বাজারে রপ্তানির ৮২ শতাংশই গার্মেন্ট পণ্য।
[৬] বিকেএমএইএর সহসভাপতি মোহম্মদ হাতেম বলেন, ভারতে পাঠানো পণ্যে আমাদের ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করলেই হয়। কিন্তু তারা যদি এখন চীনা কোন কিছুই গ্রহণ না করে তবে সমস্যা হবে। তবে ভারতে আমাদের পণ্য রফতানি বাড়ছে।
[৭] ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি এক টুইটবার্তায় বলেছেন, সম্প্রতি আমদানি বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে অনৈতিক বাণিজ্যের আশংকা। তাই বাধ্য হয়ে বিধি তৈরীর প্রয়োজন হয়েছে।