তাপসী রাবেয়া : [২] বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা শিশু এবং তাদের পরিবার এখন নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, কোভিড-১৯ এর কারণে শরণার্থী শিবিরে শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ থাকায় শরণার্থী শিশুরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
[৩] সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংস্থাটি। ইউনিসেফ বলছে, কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও শিবিরগুলোতে কোভিড-১৯ এর হুমকি ঠেকাতে ও সামাল দেওয়ার প্রচেষ্টায় শরণার্থী জনগোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।
[৪] ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জিন গফ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাসিত অবস্থায় থাকা এসব রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু এবং পরিবার অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েছে।
[৫] ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, ৭৭ শতাংশ শিশু বাড়িতে সেবাদানকারীদের তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিল। তবে অনেক বাবা-মায়ের পড়তে ও লিখতে না পারার বিষয়টিসহ উল্লেখযোগ্য অনেক বাধা এখনও রয়েছে। ইউনিসেফ শিশুদের পড়াশোনা এবং তথ্যের সঙ্গে যুক্ত রাখার জন্য বিকল্প উপায় অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
[৬] ইউনিসেফ বলছে, ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধের প্রচেষ্টায় শিবিরে মানবিক সহায়তা কর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ইউনিসেফ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন উপায় খুঁজে বের করেছে।
[৭] ইউনিসেফ এবং সহযোগীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ সম্পূরক প্রদানে অভিযান পরিচালনা করে। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ৫৪ হাজার শিশুর কাছে এই ভিটামিন ‘এ’ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
[৮] বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউনিসেফ বলেছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুতর প্রয়োজনের মুহূর্তে তাদের সুরক্ষা ও আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি ইউনিসেফ তার কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :