মনিরুল ইসলাম: [২] এফডিসিতে উপযুক্ত স্থানে মর্যাদার সাথে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করতে হবে। আর অবহেলায় রাখা যাবে না জাতীয় কবির ভাস্কর্যটি। এফডিসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের সাথে আলাপ করে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের নেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
[৩] তিনি এ প্রতিবেদককের সাথে সকাল আলাপকালে বলেন, ভাস্কর্যটি নিয়ে অবহেলা মানা হবে না।
[৪] তিনি বলেন, বর্তমানে ভাস্কর্যটি আমাদের উদ্যোগে উদ্ধার হয়ে এফডিসির ৮ ও ৯ নং শুটিং ফ্লোরের সামনে খালি জায়গায় রাখা হয়েছে। ভাস্কর্যটি একটি হাত ভেঙ্গে গেছে। সারা শরীর শ্যাওলায় ভরা। এটিকে সংস্কার করে যথা স্থানে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি।
[৫] তিনি জানান, বি এফডিসিতে তৈরি অনেক অনেক বছর আগে বিদ্রোহী কবির এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ হয়েছিলো। প্রথমে এটি স্থাপন করা হয়েছিলো এফডিসি'র প্রশাসনিক ভবনের সামনের চত্বরে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি'র সদস্যদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রাম কক্ষ সংলগ্ন বাগান ঘেঁষে। এই ভাস্কর্যের সামনে চিত্রায়িত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্রের দৃশ্য।
[৬] তিনি বলেন, ওই স্থান থেকে দীর্ঘদিন আগে আচনক এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেয়া হয়। এফডিসি'র গেইট সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে। তখন অনেকেই ভেবেছিলো জাতীয় কবির ভাস্কর্য গেইটের কাছে নেয়া হয়েছে, বোধহয় এফডিসিতে ঢুকতেই এটা চোখে পড়ে সে জন্য। কিন্তু কিছুদিন পরেই এটি উধাও হয়ে যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিদ্রোহী কবিকে দিয়েছেন 'জাতীয় কবি'র সম্মান। যে কবিকে ভারত থেকে দেশে এনে টেনে নিয়েছিলেন বুকে, সেই কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ভাস্কর্যটি আড়ালে ও অবহেলায় পড়ে থাকবে তা মানা কঠিন।
[৭] খসরু বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি'র দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেংগে, বর্তমান কমিটি দায়িত্বে আসার পর, বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি এই ভাস্কর্য উদ্ধারেও সচেস্ট হয় । পরিত্যক্ত জিনিসপত্র রাখার মত এটি ফেলে রাখা হয়েছিলো দৃস্টির আড়ালে। সেখান থেকে উদ্ধার করে দেখা যায় জায়গায় জায়গায় আস্তরণ খসে যাওয়া, শ্যাওলা জমা, ধুলোয় ভরা অবস্থায় উদ্ধার হয় জাতীয় কবির এই ভাস্কর্যটি।
[৮] এদিকে, জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ভাস্কর শামীম সিকদার জাতীয় কবির ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর এপর্যন্ত এটির কোনো সংস্কার বা যত্নআত্তি হয়নি। বরং দফায় দফায় স্থান পরিবর্তন করেছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। যার কারণে ভাস্কর্যটির আজ এই পরিনতি।
আপনার মতামত লিখুন :