শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবিত, তবে গভীর কোমায় কিম জং উন! দাবি ঘিরে আলোড়ন

ডেস্ক রিপোর্ট : গুরুতর অসুস্থ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তিনি কোমায় রয়েছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জুংয়ের (Kim Dae-Jung) প্রাক্তন এক সহযোগী। তাঁর আরও দাবি, গুরুতর অসুস্থতার কারণেই কিম জং উন কিছু ক্ষমতা তাঁর বোন কিম জং ইয়োর (Kim Jong Yo) হাতে তুলে দিয়েছেন। যে কারণে কিম জং ইয়ো এই মুহূর্তে হয়ে উঠেছেন দেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, কিম জং উনের পর কিম জং ইয়ো-এর হাতে যদি দেশের শাসনভার যায়, তবে এই প্রথম এক জন মহিলা উত্তর কোরিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন।

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন কূটনীতিক ছাং সং-মিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসকরা সহজে ক্ষমতা ছাড়েন না। একমাত্র গুরুতর অসুস্থতা বা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদ থেকে সরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত গদি আঁকড়ে ধরে বসে থাকেন। অতীতে উত্তর কোরিয়ার কোনও শাসক স্বাভাবিক অবস্থায় অন্য কারও হাতে ক্ষমতা তুলে দেননি। বস্তুত এটাই পরম্পরায় হয়ে আসছে। উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক এর ব্যতিক্রম হবেন, এমন আশা করা যায় না বলে জোরের সঙ্গে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কিম জং উন সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন বলে এর আগে দাবি করেছিলেন ছাং। নিজের সেই দাবি এদিন আরও একবার জোরের সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন এই কূটনীতিক।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ছাং লিখেছেন, 'আমার ধারনা উনি (কিম জং উন) কোমার চলে গিয়েছেন। তবে উনি এখন জীবিত আছেন। কারণ কিমের উত্তরসূরী নির্বাচনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর দীর্ঘদিন ধরে শাসন ক্ষমতায় শূন্যতা বজায় রাখা যায় না। অসুস্থতার কারণে কিম জং উন নিজের হাত থেকে ক্ষমতার রাশ ক্রমশ আলগা করছেন। তিনি কিছু কিছু ক্ষমতা বোনের হাতে তুলে দিচ্ছেন।'

এদিকে, কিম জং উনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ায় তৎপর হয়ে উঠেছে পিয়ং ইয়ংও। গত কয়েক মাসে নিজেদের দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা। সেইসঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার এই বিতর্কিত শাসক সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জুংয়ের প্রাক্তন সহযোগীর দাবি, পিয়ং ইয়ংয়ের তরফে প্রকাশ করা উনয়ের ওই সব ছবি ভুয়ো। বাস্তবে উনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি, সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে বসেছিলেন কিম। করোনা পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে বৈঠকে তিনি নাকি স্বীকার করে নেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশবাসীকে পোশ্য কুকুর সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি নাকি আবেদন জানিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।

জানা গিয়েছে, বুর্জোয়া, পুঁজিপতিদের চিন্তাধারার উদাহরণ! এই কারণেই নাকি পোষ্য কুকুর নিধনের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। পিয়ংইয়ংয়ের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, মতাদর্শের কথা বলা হলেও, আদতে রেস্তোরাঁয় বিক্রি করে দেওয়া হবে পোষ্য কুকুরগুলিকে। কারণ চিন-কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়ার চল রয়েছে কয়েক শতাব্দী ধরে। কুকুরের মাংস গ্রীষ্মের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে বলেও বিশ্বাস করেন ওই দেশগুলির অনেকেই।এই সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়