মুসফিরাহ হাবীব: [২] ডিজিটাল লক ছিল। তাই বলিউড অভিনেতা সুশান্তের ঘরের তালা ভাঙার জন্য বাইরে থেকে লোক ডাকা হয়েছিল সেদিন। একাধিকবার জেরায় এ কথাই জানিয়েছিলেন সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং বাড়ির বাকি সদস্যরা। তবে তালা খোলার জন্য যাকে ডাকা হয়েছিল সেই মহম্মদ রফির ভাষ্য কী? ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবশেষে মুখ খুলেছেন রফি।
[৩] তিনি জানান, ১৪ জুন তার কাছে একটা ফোন আসে এবং তাকে সুশান্তের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় । তাকে জানানো হয় যিনি বন্ধ দরজার ওপাশে আছেন তিনি অনেক্ষণ দরজা খুলছেন না । তাকে ফোন করা হলেও তিনি তার জবাব দিচ্ছেন না।
[৪] রফি শেখ তখনও জানতেন না তিনি সুশান্তের বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি গিয়ে দেখেন, বেডরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কম্পিউটারাইজড লক দেখে তিনি একটু বেশিই টাকা চান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা তাকে বলেন, টাকাটা কোনও ব্যাপার নয়। আগে দরজা খুলুন। ছুরি এবং হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙেন সেই ব্যক্তি।
[৫] তারপরেই কি সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ চোখে পড়ে তার? উত্তরে চাবিওয়ালার জবাব: “তারা আমায় কিছু দেখতে দেয়নি। দরজার হ্যান্ডেল নীচে নামিয়ে সেটি খুলতে দেওয়া হয়নি। আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।’’তারা কারা? এ প্রশ্নে চাবিওয়ালার উত্তর, “তিন-চার জন ছিলেন। আমি তাদের নাম জানি না।’’ওই তিন-চার জন ব্যক্তির মধ্যে কি পুলিশও ছিল? “না, কোনও পুলিশ ছিল না”, জানান চাবিওয়ালা।
[৬] পুলিশের অনুপস্থিতিতে কী করে ও কেন তালা ভাঙা হল সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। চাবিওয়ালার দাবি, যে কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন, সুশান্ত ভিতরে সাড়াশব্দ করছেন না দেখেও তাদের মধ্যে চিন্তার বিন্দুমাত্র লেশ ছিল না। তালা ভাঙার পরই টাকাপয়সা মিটিয়ে, একরকম সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় চাবিওয়ালা রফিকে । আর তার এ বয়ান থেকে তৈরি হয়েছে নতুন রহস্য ।
[৭] চাবিওয়ালা জানিয়েছেন, মুম্বাই পুলিশ তাকে ডেকে পাঠানোর পরই তিনি জানতে পারেন, যার শোবার ঘরের দরজার তালা ভেঙেছেন তিনি আর কেউ নন, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল প্রয়োজনে ডেকে পাঠাতে পারে এই চাবিওয়ালা মহম্মদ রফি শেখকে।
আপনার মতামত লিখুন :