প্রমথ রঞ্জন : [২] কোটালীপাড়ায় ডুবে গেছে মৎস্য ঘের ,বেড়েই চলেছে বন্যার পানি, গুরুত্তপূর্ণ সড়ক, বসতবাড়ি,মাছের ঘের স্কুল ও ফসলি জমিসহ তলিয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ডুবে গেছে খামারিদের মাছের ঘের ও পুকুর। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন অনেক মাছ চাষিরা।
[৩] রোববার (২৩ আগষ্ট) উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের পেটকাটা, রামনগর, কাফুলাবাড়ী, কলাবাড়ী, কুমুরিয়া, বৈকুন্ঠপুর, তেঁতুল বাড়ী, বুড়ুয়া, রুথীয়ার পাড়, মাছপাড়া, শিমুল বাড়ী, নলুয়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় মৎস্য ঘেরের উপরে দেড় থেকে দুই ফিট পানি। প্রতিটি ঘেরে মাছ আটকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে নেটের বাঁধ।
[৪] মৎস্য খামারিরা জানান, গত তিন সপ্তাহ থেকে এ এলাকায় বন্যার পানির প্রবণতা বেড়েই চলেছে,তবে বন্যারপানি এখন একটু কমলেও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে সেটুকু পূরণ হচ্ছে। ফলে তাদের মাছের ঘের, পুকুরেরকাচা পানির নিচে নিমজ্জিত। সড়ক, বাড়ি-ঘর উচুঁ জমি সহ ঘেরের উপর সব ধরনের সবজি গাছ তলিয়ে গেছে ।
[৫] কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় আমার এলাকায় মৎস্য ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান বন্যার পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এসেছে তবে প্রচুর বৃষ্টির কারণে পানি কিছুটা বেড়েছে। ক্ষতির দিক থেকে কোটালীপাড়ায় উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে বেশি হয়েছে আমি মনে করি।
[৬] উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজারের বেশী মৎস্য ঘের ও পুকুর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং ১৭কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদি বন্যার পানি বেড়ে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :