ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর বসিলায় অন্তত ৪ হাজার ফ্ল্যাটে দেয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। আর তা থেকে বছরে অন্তত ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। ভবন মালিকরা হাউজিং সোসাইটির মাধ্যমে সংযোগ নেয়ার কথা জানালেও, অভিযোগ অস্বীকার করে সোসাইটি বলছে, অবৈধ এই সংযোগে জড়িত তিতাসের অসাধু কর্মকর্তারা।
বসিলার ওয়েস্ট ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় থাকেন লাইজু বেগম। তার রান্নাবান্না চলে তিতাসের গ্যাসে। ৯'শ ৭৫ টাকা বিল দেন বাসা ভাড়ার সাথে। তবে এখানে তিতাসের বৈধ কোনো লাইনই নেই। কিন্তু এলাকার প্রায় সব বাড়িতেই আছে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ। সবসময় চুলা না জ্বললেও, বাড়িওয়ালাকে বিল চুকাতে হয় নিয়মিত। অভিযোগ করলে, শুনতে হয় বাড়ি ছাড়ার হুমকি।
এখানকার এক নম্বর সড়কের হাতে গোনা কয়েকটি বাড়িতে আছে বৈধ সংযোগ। বাকি প্রায় চার হাজার ফ্ল্যাটেই অবৈধ সংযোগ। এতে মাসে আয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আর সংযোগ নেয়ার সময় বাড়ির মালিককে গুণতে হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
তাহলে এই টাকা যাচ্ছে কোথায়? এ প্রশ্নে ভবন মালিকেরা বলছেন, হাউজিং সোসাইটিকেই টাকা দিচ্ছেন তারা। আর পুরো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন এর সভাপতি মোহাম্মাদ আলীসহ কয়েকজন। তবে সোসাইটি সভাপতি মোহাম্মাদ আলীর দাবি, এই কাজে তারা নন, জড়িত তিতাসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ে, ধানমন্ডির ১৩ নম্বর সড়কে তিতাসের জোন অফিসে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। পাওয়া যায়নি কোনো বক্তব্যও। পরে টেলিফোনে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন জানান, অবৈধ এই গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে শিগগিরই। অভিযোগের প্রমাণ হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
ওয়েস্ট ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে, বছরে অন্তত ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :