শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৩০ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আত্মহত্যা বদলে গেল খুনে, দুই পরকীয়া প্রেমিকসহ গ্রেফতার স্ত্রী!

ডেস্ক রিপোর্ট : চাঞ্চল্যকর ঘটনা ভারতের দিল্লিতে। কৃষ্ণ ত্যাগী নামে নিজের ৫০ বছরের স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও প্রথম থেকে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছিল। তবে স্ত্রী ও তার দুই পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতারের পরই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। প্রথমে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হয়েছিল।বিডি প্রতিদিন

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আটক স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা, তার দুই পরকীয়া করণ ও তার ভাই বীরু ভার্মাকে (করণের ভাই) গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কাই এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করে। গত ১৮ আগস্ট খুন হন স্বামী কৃষ্ণ ত্যাগী। পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের থেকে ২০ বছরের বড় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না স্ত্রীর। প্রিয়াঙ্কা এরপর থেকেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করে। মানসিক অবসাদের জেরে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। যদিও পরে পুলিশের কাছে স্ত্রী স্বীকার করেছে খুনের কথা। প্রথমে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুন করে পরে সেই দেহ সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

দিল্লি পুলিশ বলছে, মৃত স্বামীর শেষকৃত্যের দিন অস্বাভাবিক আচরণ করেছিল স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। সেই দেখে সন্দেহ হয়েছিল পরিবারের অন্য সদস্যদের। বুদ্ধ বিহার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কৃষ্ণ ত্যাগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। পরিবারের কাছে নারী দাবি করেছিল, রাতে খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন তিনি এবং পরে মারা যান।

যদিও হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কৃষ্ণ ত্যাগীর শরীরে আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই সময় প্রিয়াঙ্কা পরিবারের কাছে দাবি করেন, কৃষ্ণ ত্যাগী আত্মহত্যা করেছেন। ভয়ের কারণেই নাকি প্রকৃত ঘটনা বলেনি সে। এর পরই সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। পুলিশের কাছে ফের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশি জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে প্রিয়াঙ্কা। স্বীকার করে নেয় নিজের দোষ। বীরুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রিয়াঙ্কার। পরে তার ভাইয়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ায় প্রিয়াঙ্কা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়