শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০১:২৫ রাত
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ০১:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেমন ছিল পাঁচ কোটি বছর আগের ঘোড়া!

সাজিয়া আক্তার : আজ থেকে লাখ বা কোটি বছর পেছনে গেলেই আমরা চিনতেই পারবো না অধিকাংশ চিরচেনা প্রাণীগুলোকে। এমন বিষয় নিয়ে জীববিজ্ঞানীদের চলছে নিরন্তর গবেষণা।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবাশ্বসমৃদ্ধ এলাকা মিসেলে ২০১৫ সালে মিলেছিল ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইকুয়িডের একটি কঙ্কাল। অন্তত চার কোটি ৮০ লাখ বছর (৪৮ মিলিয়ন) আগের ইকুয়িড শাবকের সেই কঙ্কালটির নতুন নাম দেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় অক্ষত জীবাশ্মটির নাম দেয়া হয় ‘প্রোপালেওথেরিয়াম ভইগতি’।

সহকর্মীদের নিয়ে কম্পিউটার টমোগ্রাফির মাধ্যমে কঙ্কালটি স্ক্যান করেন জার্মানির ফ্রিডরিখ শিলার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ মার্টিন ফিশার। পরবর্তীতে থ্রিডি পদ্ধতিতে প্রাণীটির অবয়ব গড়ে তোলা হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

তবে থ্রিডি অবয়বের সঙ্গে আমাদের চিরচেনা ঘোড়ার মিল দেখা যায় সামান্যই। বরং আধুনিককালে দেখতে পাওয়া ‘বেজার’ নামের প্রাণীর সঙ্গেই নতুন অবয়বটির মিল দেখা যায়।

বিজ্ঞানীরা জানান, ইয়োসিন যুগে ইউরোপ ও এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছিল প্রোপালেওথেরিয়াম ভইগতির উত্তরসূরিদের বিচরণ। বর্তমান সময়ে দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ায় বিচরণ করা টাপিরের সঙ্গে এদের চেহারার সাদৃশ্য ছিল। আজকের দিনের চিত্রা হরিণের মতো রোমশ চামড়ায় ঢাকা ছিল এদের গা। দলবেঁধেই বিচরণ করত এই প্রাণীটি।

প্রোপালেওথেরিয়াম ভইগতির ঘাড় ছিল খাট। পিঠ ছিল ধনুকের মতো ঊর্ধ্বদিকে বাঁকানো। এদের পায়ে ছিল ছোট ছোট খুর, যার সাথে বর্তমানের কালের ঘোড়ার খুরের কোনোই মিল নেই।

অরণ্যচারী এই প্রাণীর প্রধান খাদ্য ছিল মাটিতে ঝরে পড়া জাম জাতীয় রসালো ফল ও এর পাতা। ইয়োসিন যুগের শেষ দিকে প্রোপালেওথেরিয়াম ভইগতির উত্তরপুরুষদের পা ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। ধীরে ধীরে আধুনিককালের ঘোড়ার পায়ে রূপ নেয় এই প্রাণীটির পা। বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়