শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ধাপে ধাপে ২ হাজার নিয়মবহিভূত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, আগামী মাসে রাজউকের অভিযান

সুজিৎ নন্দী : [২] আগামী মাসের শুরুতে রাজধানীর নিয়ম বর্হিভূত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। প্রায় ২হাজার ভবন মালিককে ইতোমধ্যে চার ধাপে চূড়ান্ত চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভবনকে জরিমানা নিয়ে ছাড়, আংশিক ভেঙ্গে ফেলা এবং যে ভবনগুলোর কোন অনুমোদন নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে রাজউক চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

[৩] রাজউকের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম বলেন, এটি রাজউকের চলমান প্রক্রিয়া। যারা নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বর্ধিতাংশ দ্রুত ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ। অন্যথায় রাজউক ব্যবস্থা নেবে। এটাকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলা যেতে পরে। তবে যারা নকশা বর্হিভূত ভবন নির্মাণ করেছে সংশোধন করার জন্য ইতোমধ্যে সময় দেয়া হয়েছে।

[৪] রাজউকের অথরাইজ বিভাগ সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ভবনের মূল মালিক এবং নির্মাণকারী উদ্যোক্তা বা ডেভেলপার কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি রাজউক অনুমোদিত নকশা আছে কিনা তা থাকলে নকশা অনুমোদন ও ভবন নির্মাণের সাল, নকশা প্রণয়নকারী স্থাপতি এবং প্রকৌশলীর নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেছে। ভবন নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কিনা, নকশা অনুযায়ী কার পার্কিং সঠিক আছে কিনা এবং ব্যাত্যয় হলে কী পরিমাণ ব্যাত্যয় হয়েছে সে সব তথ্য সংগ্রহ করেছে।

[৫] প্রায় তিন হাজার ভবনের অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে কার পার্কিং এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। পরিদর্শন করা ভবনগুলোতে এসব মানা হয়নি। বিশেষ করে বেজমেন্ট স্টোররুম বা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

[৬] জানা যায়, বনানী এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পরে রাজউক বিশেষ অভিযানে মাঠে নামে। সে সময় রাজউকের ২৪টি টিম রাজধানীর প্রায় ১ হাজার ৮৫০ ভবনের তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে কেবল বিকল্প সিঁড়িই নয়, ১৫ শতাংশ বহুতল ভবন ঊর্ধ্বধুখী সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হয়নি। আর বহুতল ভবন নির্মাণে ৩৭ শতাংশ ভবনের যে পরিমাণ উন্মুক্ত স্থাান রাখার কথা তা রাখেনি।

[৭] অভিযান চলাকালে ৪৭৪টি বহুতল ভবনের মালিক রাজউককে নকশা দেখাতে পারেনি। এছাড়া সরকারের অন্য সংস্থাার ৪৪টি বহুতল ভবনেরও নকশা পায়নি রাজউক। পাশাপাশি ৭০ শতাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ৩৩ শতাংশ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত বের হওয়ার জন্য বিকল্প সিঁড়ি নেই। বাকি ৬৭ শতাংশ ভবনে এই সিঁড়ি থাকলেও ব্যবহার উপযোগী মাত্র ৪৩ শতাংশ। আর বাকি ৩৪ শতাংশ ভবনের সিঁড়ি ব্যবহার অনুপযোগী। রাজউকের অথরাইজ বিভাগ সূত্রে এতথ্য জানা যায়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়