লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ ২০ হাজারের নিচে নেমে এসে তা প্রায় দুই মাস হতে চলেছে। গত ২৮ জুন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০০ ও ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করে। ২৯ জুন সবার সামনে এটি প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই কোভিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহ কমতে থাকে।
[৩] ফি নির্ধারণের পর ধাপে ধাপে নমুনা সংগ্রহ কমে আসে ১২-১৪ হাজারের মধ্যে। ঈদ উল আযহার তিন দিনে কোভিডের নমুনা সংগ্রহ কমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত এক সপ্তাহ ধরে কোভিড নমুনা সংগ্রহ হয়েছে যথাক্রমে ১৫ আগস্ট ১২৮০০, ১৬ আগস্ট ৯৬৩৬, ১৭ আগস্ট ১২৮৩৬, ১৮ আগস্ট ১৫৪৩৫, ১৯ আগস্ট ১৫০৭৪, ২০ আগস্ট ১৪১৭৬, ২১ আগস্ট ১৩১৫৫টি।
[৪] এই অবস্থায় ১০টি টেলিভিশনে স্ক্রল দিয়েই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের কোভিডের নমুনা সংগ্রহের প্রচারণা শেষ করতে চাইছে। তারা ইতমধ্যে সব ধরনের পত্রিকায় প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
[৫] কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধিতে কোনো ব্যবস্থার কথা জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলাতানা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিডের নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধির জন্য ইতমধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ফি কমিয়েছে। যা গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত কোভিড নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
[৬] ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশের নাগরিকদের আরো সচেতন হতে হবে। নইলে কোভিড নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি সম্ভব না।
[৭] এদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফি কমিয়ে মানুষকে হাসপাতাল মুখি করা যাবে না। আরো প্রচারণা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য খাত থেকে মানুষ যে আস্থা হারিয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে হবে।