দীপু তৌহিদুল: ভারত মেড করোনাভ্যাকসিন নেওয়া থেকে বাংলাদেশের দূরে থাকা ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়াটা ছেলেখেলা যেমন নয়, তেমনি এটা বাঁশও বয়ে আনতে পারে বাংলাদেশের জন্য। ভারতের কূটনীতিকদের বাংলাদেশে দৌড় ঝাঁপটা ভালো লক্ষণ নয়। এই উপমহাদেশে অশান্তিগুলোর পেছনে ভারতের রাজনীতিবিদরাই যথেষ্ট ভূমিকা রাখে, এটা অস্বীকার করা যায় না। নেপাল এই ব্যাপারটারে খুব ভালো বুঝে, কিন্তু বাকিরা এড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের রাজনীতির আজকে যে দুরাবস্থা তার মূলে ওই একই ভারত। খুবই দুঃখজনক বিষয় ভারতের সাধারণ নাগরিকদের খুব অল্প সংখ্যার মানুষ বিচার বুদ্ধি বোধটা দিয়ে এসব বুঝেন, এমনকি খোদ বাংলাদেশের একটি দলের অন্ধ সমর্থকেরা এটারে কিছুমিছুই ভাবেন। ভারত উপমহাদেশের যে দাদাগিরির খেলাটা চালায়, সেটাই ভারতের বিপক্ষে বুদ্ধিমান ও বোধ সম্পন্ন মানুষের মনকে নিয়ে যাচ্ছে, কেউ হুদাই শখ করে নেগেটিভ চিন্তা করে না।
আর এইটারে বাংলাদেশের কিছু দলান্ধ নিজ দলের স্বার্থে ‘ভারত বিরোধিতা’ বলে উল্লেখ করে দালাল চাপ সৃষ্টি করে রাখছে। ভারত বিরোধিতা মূলত ভারতের পররাষ্ট্র নীতির বিরোধিতা যা মূল ভারতের সাধারণের দিকে আঙ্গুল তোলা নয়। ভারতের নাগরিকরা তাদের দেশের স্বার্থটাকে বড় করে দেখবে- এটা স্বাভাবিক, ঠিক তেমনি উপমহাদেশের বাকি রাষ্ট্রগুলোর সচেতন নাগরিকরা নিজ নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থ সচেতন হতে চাইবে- এটা মহাপাপ হতে পারে না। ‘ভারত বিরোধিতা’ প্রচারটাই একটা অনৈতিক নোংরা চাপ, যে চাপটা ভারত ও তার দালালরা তৈরি করে নিয়েছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য, এই চাপটাকে জোরাল ভাবে অগ্রাহ্য করতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :