রাশিদ রিয়াজ : [২] লকডাউন প্রত্যাহার ও রেস্তোঁরা খোলার অনুমতি দেয়া হলেও ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ ডাইনিং আউট রেস্তোঁরা খুলেছে। ৪৩ শতাংশ রেস্তোঁরা মালিক অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জোমাটোর পরিসংখ্যান বলছে কোভিড প্রাদুর্ভাবে ফুড ডেলিভারির ব্যবসা বাড়লেও কমেছে রেস্তোঁরা ব্যবসা। ভারতের যে সব শহরে এখন রেস্তোঁরা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে এগিয়ে আছে কলকাতা। কলকাতার ২৯ শতাংশ রেস্তোঁরা খুলেছে। হায়দ্রাবাদে খুলেছে ২১ শতাংশ। ৬০ শতাংশ রেস্তোঁরা মালিকারা বলছেন কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অর্ধেকের বেশি ব্যবসার আশা করছেন না তারা।
[৩] ভারতে কোভিড পরিস্থিতির আগে যেমন ছিল তার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যবসা ফিরে এসেছে। মানুষ এখন বাইরের খাবারই বাড়িতে বসে খেতে পছন্দ করছেন। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে পারবে জোমাটোর ব্যবসা। ভারতে ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর জোমাটো এপর্যন্ত ৭ কোটি ফুড ডেলিভারির অর্ডার সরবরাহ করে। এর সঙ্গে সব ফুড ডেলিভারি কোম্পানি এবং সরাসরি রেস্তোঁরা থেকে খাবারের সরবরাহ মিলিয়ে ২০ কোটি অর্ডার মিলেছে।
[৪] জোমাটো প্রতিবেদনটি করলেও ঠিক কয়টি রেস্তোঁরা বা কতজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে তা উল্লেখ করেনি। এদিকে কোভিডের ভারতে অর্থনীতির বিকাশের গতি ফের ফিরিয়ে আনতে আরো সংস্কারের কথা বলেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। আগে ভারতের অর্থনীতি যতটা সংকুচিত হবে বলা হয়েছিল এখন দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হবে।
[৫] গত মে মাসে বিশ্বব্যাঙ্ক চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৩.২ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়। চলতি বছরে ভারতের রাজকোষ ঘাটতি ৬.৬ শতাংশ এবং আগামী বছর তা আরো হ্রাস পাবে ৫.৫ শতাংশ। ভারতে সাধারণ মানুষ এখন বেশি কেনাকাটা করছেন না। সরকারও বেশি খরচ করছে না। বিদেশে ভারতীয় পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :