রহিদুল খান : [২] ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টার অভিযোগে চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বন্ধ করা হয়েছে।
[৩] সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিক্ষককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অপর একজন শিক্ষক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা ‘জরুরি ভিত্তিতে’ তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ করা হয়েছে।
[৪] তবে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের দাবি, একজন ক্ষমতাধর আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া একজন অভিযোগ করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে অভিযোগকারীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ না থাকায় তাকে প্রভাষক পদে নিয়োগ না দিয়ে প্রদর্শক পদে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওর আবেদন করা হয়েছিল।
[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজটি সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক তরুণকান্তি ঘোষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে তিনি দাবি করেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার জায়গায় বখতিয়ার উদ্দিন নামে অপর একজন শিক্ষককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। ব্যাকডেটেড নিয়োগ দেওয়া শিক্ষকের এমপিওভুক্তির আবেদনও পাঠানো হয়েছে।
[৬] মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন উপসচিবকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সময় পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, রেজুলেশন, ডিজির প্রতিনিধি আদেশ, টেবুলেশন শিটসহ নিয়োগকালীন সকল কাগজপত্র তদন্তের সময় যাচাই করবেন তিনি। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৭] সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
[৮] তবে, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। অধ্যক্ষ জানান, ২০০৭ সালে তরুণকান্তি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেন। পরে চলে যান। আবার ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ফিরে আসেন। আবারো চলে যান। পরে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে তিনি আবার ফিরে আসেন। কিন্তু তার নিবন্ধন সনদ ছিল না। তাই তাকে প্রভাষক নয়, প্রদর্শক পদে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছিল। তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন-ভাতাও তুলেছিলেন।
[৯] অধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘তরুণকান্তির একজন ভাই সচিব পর্যায়ে কর্মরত। তিনি তদবির করে সবার এমপিও বন্ধ করিয়েছেন। নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এমপিওভুক্ত হতে পেরেছি। এখন একজনের জন্য সকলের এমপিও বন্ধ করা হলো।’ সম্পাদনা : হ্যাপি