শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১১:৪১ দুপুর
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ১৮ পাতার চিঠি লিখে আত্মঘাতী দশম ক্লাসের ছাত্রী !

ডেস্ক রিপোর্ট : বেড়ে চলেছে দূষণ। সেই সঙ্গে দুর্নীতি আর সমাজ বিরোধীদের আড্ডা হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। পরিবেশ আর বসবাসের উপযুক্ত নেই। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ১৮ পাতার চিঠি লিখে আত্মঘাতী ১৬ বছরের এই কিশোরী। স্বাধীনতা দিবসের দিন সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে গুলি করে আত্মঘাতী হয় যোগীরাজ্যের সম্বল জেলার এই ছাত্রী। মঙ্গলবার দিন পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে ১৮ পাতার অভিযোগপত্রটি উদ্ধার করে। সেই চিঠ সে লিখেছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে।

চিঠির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে সে লিখেছে, কীভাবে দিনের পর দিন উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে দূষণ। নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। কেউ কোনও প্রতিবাদও করে না। পরিবেশ নিয়ে বিন্দুমত্র ভাবিত নয় কেউ। আর মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাতেই দুর্নীতি। মানুষ নূন্যতম পরিষেবাও পান না। এই সবের জন্যই সে নিজেকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হল। এছাড়াও অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছে। কিন্তু সে আশা কোনওভাবেই সম্ভব হয়নি।

এর আগেও সে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিল, যেন দিওয়ালির সময় শব্দবাজি এবং হোলির সময় কেমিক্যাল যুক্ত রং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সকলেই জানেন এই দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে কীভাবে শব্দবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে যান মানুষ। এছাড়াও সমাজে বয়স্ক মানুষদের যে রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাঁদের দিকে যে কেউ নজর দেয় না সেই অসুবিধের কথাও তুলে ধরেছে। ওই ১৮ পাতার চিঠির শুরুতেই সে বলেছে, 'আমি এরকম জায়গায় সত্যিই বাঁচতে চাই না যেখানে সন্তানের বয়স হলেই বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবে'।

মেয়েটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়ের শেষ ইচ্ছে ছিল এই চিঠি যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছয়। আর তাই শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে তাঁরা সবরকম ভাবে চেষ্টা করছেন। যোগাযোগ করেছেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও। মেয়েটির বাবা পেশায় কৃষক। তার আরও এক ভাই ও বোন রয়েছে। বাবরালায় স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। বাবা চাইছেন, যেভাবেই হোক মেয়ের শেষ ইচ্ছা তিনি পূরণ করবেন। আর তাই চিঠি যাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছয় তার জন্য তিনি যাবতীয় ব্যবস্থা করছেন।

স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটির ময়নাতদন্ত হয়েছে। গুলি লেগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যার জন্য তার চিকিৎসা চলছিল বলে জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে।এই সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়