আনিস তপন : [২] মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের এ বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার জন্য এসব চাল বরাদ্দ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
[৩] সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৫১টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭ শত ৮৬টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৩ দিনের জন্য (০১-২৩ জুলাই ২০২০) ৩০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল প্রদান করা হবে।
[৪] বুধবার (১৯ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করা হয়। যা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরেরর মধ্যে উত্তোলন ও বিতরণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলেরা এ চাল বরাদ্দ পাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
[৫] বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
উল্লেখ্য, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সকল প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।