আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এই ব্যাপারে বলেন, দ্বিতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে রাজধানীর ২৯.১ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ দিল্লির ৫৮ লাখ মানুষের শরীরে এখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। এই ৫৮ লাভ মানুষ জেনে বা না জেনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। লাইভ মিন্ট, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু
[৩] ওই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, দিল্লির দক্ষিণ পশ্চিম জেলাতেই সব থেকে বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৩৩.২ শতাংশের মধ্যে এই অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে। নয়া দিল্লি এলাকায় সেই তুলনায় এই পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। সেখানে ২৪.৬ শতাংশের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি।বিজ্ঞানীদের মতে, কোনও অঞ্চলের ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ধরে নিতে হবে হার্ড ইমিউনিটির ব্যাপারটি শুরু হয়ে গেছে।
[৪] দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তারা মোটামুটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাস করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। মন্ত্রী নিজেও কিছুদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
[৫] এই সমীক্ষাটি দিল্লির মানুষজনের মধ্যে ১ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত চালানো হয়। এর পর আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এমন সমীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি সরকারের। গত জুলাইয়ে প্রথম সমীক্ষা করা হয়েছিল দিল্লিতে। তখন দেখা যায় যে রাজধানীর ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এবারের সমীক্ষার জন্য দিল্লির ১১ টি জেলা থেকে ১৫,০০০ মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য় নেওয়া হয়। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :