ইমরুল শাহেদ: [২] সৌদি আরব বুধবার বলেছে, এই ইহুদী দেশটি যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের চুক্তিকে অনুসরণ করা হবে না। ডন, দ্যা ন্যাশনাল
[৩] সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সল বিন ফারহান বার্লিন সফরকালে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবেই। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে এটাই হলো শর্ত।
[৪] তিনি বলেন, সেটা হয়ে গেলে, সব কিছুই সম্ভব।
[৫] সকলকে চমকিত করে আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, আরব বিশ্বে সেটা হলো তৃতীয় চুক্তি। এর আগে ইসরায়েল একই ধরনের চুক্তি করেছে মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে। তারা মনে করছে পশ্চিমাপন্থী উপসাগরীয় আরো দেশের সঙ্গেই তাদের চুক্তি হবে।
[৬] এতোদিন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিত্তবান দেশ সৌদি এই চুক্তি নিয়ে নীরবই ছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রচণ্ড মার্কিন চাপ থাকা সত্তে্বও রিয়াদ এখনই এই ধরনের কোনো চুক্তির পথে হাঁটার কথা ভাবছে না। আঞ্চলিক মিত্রতার বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
[৭] জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাশের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করার প্রচেষ্টা ও সেখানে আবাসন গড়ে তোলার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি ইসরায়েলের এই একপক্ষীয় নীতি দু’রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবৈধ ও ক্ষতিকর পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।
[৮] এই চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তবে সিদ্ধান্তটি আপতত স্থগিত করা হলেও পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :