লিহান লিমা:[২] গত জুলাইতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করার প্রতিবাদে এ নিয়ে হংকংয়ের সঙ্গে মোট তিনটি চুক্তি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় নি। সিএনএন
[৩] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইট বার্তায় লিখেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করেছে। এর জবাবে আমরা হংকংয়ের তিনটি বিশেষ চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।
[৪] জুলাইতে এক নির্বাহী আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হংকংয়ের কূটনৈতিক মর্যাদা ও বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেন। আগস্টের শুরুতে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী প্রশাসক ক্যারি লামসহ চীনের মূল ভূখণ্ডের ১১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়। [৫] গত বুধবার চীনের সমালোচক হংকংয়ের মিডিয়া মুঘল জিমি লাইকে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাহসী ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প । সম্প্রতি অ্যাপল ডেইলি সম্পাদক জিমিকে পত্রিকা অফিস থেকে নিরাপত্তা আইনে আটকের পর তীব্র আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে জামিনে মুক্তি দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ।
[৬] এই আইনে চীন বিরোধী কার্যকলাপ, গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ছাত্র রাজনীতি এবং বিদেশী শক্তির সঙ্গে আঁতাতকে নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
[৭]পশ্চিমা দেশগুলো বলছে এই আইন ‘এক দেশ, দুই নীতি’র স্পষ্ট লঙ্ঘন। ১৯৯৭ সালে সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকংকে চীনের কাছে প্রত্যপর্ণের সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত অঞ্চলটিকে আধা-স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিলো। [৮] ইতোমধ্যেই ব্রিটেন, জার্র্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি বাতিল করেছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :