নিউজ ডেস্ক : করোকালে মাতৃমৃত্যু বেড়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে EPI। সংক্রমণের ভয় এবং যাতায়াতসহ নানা সমস্যা প্রসবকালীন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব কমে যাওয়ায় বাড়ছে মাতৃমৃত্যু। এই হার কমাতে, যেভাবেই হোক নিশ্চিত করতে হবে গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্যসেবা।
উম্মে আয়মা আর শুভ দম্পতির ঘর আলো করে ১৫ দিন আগে এসেছে আরিয়া। যেখানে প্রথম সন্তান পৃথিবীতে আসার স্বপ্নে বিভোর থাকার কথা, সেখানে এ সংকটের সময়ে নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন কিনা এ শংকায় দিন পার করেছেন এ দম্পতি।
পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন থাকায় সময়মতো চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। সব ম্যানেজ করে যখন হাসপাতালে গিয়েছেন তখন ছিলেন না চিকিৎসক।
করোনা সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না অনেক গর্ভবতী নারী। শেষ মুহূর্তে জটিল অবস্থায় হাসপতালে আসছেন তারা। করোনাকালে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির পরিসংখ্যান বলছে।
মহামারির আগে ৫০ শতাংশ প্রসব হতো বাড়িতে এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। গত বছর মার্চে প্রসব পূর্ব সেবা পাওয়া গর্ভবতী ছিলেন ৪২ হাজার ৫২৬ জন, এ বছর মার্চে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৬ হাজার ৪১৫। পরিস্থিতির আরো অবনতি হয় এপ্রিলে। গত বছর এপ্রিলে প্রসব পূর্ব সেবা পেয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫৭১ জন গর্ভবতী। এ বছর ১৮ হাজার ৬২ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভবতী মাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনার কারণে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবেই কমবে মাতৃমৃত্যু। সূত্র : চ্যানেল২৪
আপনার মতামত লিখুন :