মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] পদ্মায় তীব্র স্রোত এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। স্রোতের কারণে দৌলতদিয়ামুখী ফেরিগুলোকে উজানের তিন কিলোমিটার ঘুরে ঘাটে যেতে হচ্ছে। যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। ফলে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় তিন শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বইছে। এই অবস্থায় লঞ্চ চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নৌরুটে প্রায় ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এ নৌরুটে লঞ্চ পারাপার শুরু হবে।
[৫] আবহাওয়াবিদ মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর পাশে উপকূলীয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
[৬] ‘বৃষ্টির পাশাপাশি খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে এসব এলাকায় দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের অন্য অঞ্চলে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সারা দেশে নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :