রাশিদুল ইসলাম : [২] ছবির পিকজেল পরীক্ষা ও তদন্তে প্রমাণ মিলেছে প্রথমে গ্যাবরিয়েল এ্যান্টি শিপ মিসাইল হামলা চালায় ইসরায়েল। ৬ সেকেন্ড পর এফ-সিক্সটিন বিমান থেকে দেলিলাহ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েল। দেলিলাহ ক্ষেপণাস্ত্রে ছিল ৬ হাজার টন টিএনটি বিস্ফোরক। বৈরুত বন্দরের এ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মজুদে যা ছিল পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমতুল্য।
[৩] ঘটনার পরপরই মার্কিন জেনারেলদের সঙ্গে কথা বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেন এটি বোমা হামলা, দুর্ঘটনা নয়। তদন্ত, ক্ষেপণাস্ত্রের ভিডিও ছবি, হামলার পর ইসরায়েলি এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের অবতরণ, পারমানবিক হামলার মত বিস্ফোরণ ও মাশরুমের মত কমলা রংয়ের ধোঁয়ার কুণ্ডলি সহ একাধিক প্রমাণ বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিয়ে একমত হয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরাও। ভেটারানস টুডে/নিউ ইস্টার্ন আউটলুক
[৩] শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়া সামরিক যোদ্ধা গর্ডন ডাফ বলেছেন দাহ্য পদার্থ হলেও এ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ‘ অক্সিডাইজিং এজেন্ট’ হলেও খুব স্থিতিশীল কেবল সঠিক পরিস্থিতিতে ডিজেল মেশালে আগুন জ¦লে ওঠে কিন্তু বিস্ফোরণের ক্ষমতা নেই। লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ বলছে টিএনটি বিস্ফোরক ভর্তি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ছাড়া এ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণের কোনো কারণ নেই।
[৪] বিভিন্ন ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে একাধিক ড্রোন তখন বৈরুতের আকাশে ৩৫০ নট গতিতে উড়ছিল, পাখি এভাবে উড়ে না। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল এ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির বৈরুত হামলার শব্দ কম্পনের মাত্রাচিত্র বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তা পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের সমান কম্পন সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :